বাগেরহাটে জুম্মান খানের (১৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র এবং নিরঞ্জন ব্যানার্জি (৬২) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের নিজ বাড়ির বাগান থেকে ওই শিক্ষার্থীর এই মরদেহ করা হয়। অন্যদিকে সকালে ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে নিরঞ্জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, নিহত জুম্মান খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের দিনমজুর নুর ইসলাম খানের ছেলে। এবং স্থানীয় হাজী ইব্রাহিম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। আর নিহত নিরঞ্জন ব্যানার্জি ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া গ্রামের অনন্ত ব্যানার্জির ছেলে।
এ বিষয়ে জুম্মানের পিতা নুর ইসলাম জানান, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে পাশের গ্রামে একটি জানাজার নামাজে গেলে সে আর বাড়ি ফেরেনি। মধ্যরাতে তার মা খুঁজতে বের হলে নিজ বাড়ির বাগানের গাছের সঙ্গে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীমুজ্জামান জানান, গতকাল রোববার থেকে নিহত নিরঞ্জনের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাজনিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।