হোম > সারা দেশ > বাগেরহাট

শরণখোলায় হরিণের মাংস, চামড়া, ফাঁদ ও বন্দুকের গুলি উদ্ধার, আটক ৫ 

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাগেরহাট সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে শিকারিদের কবল থেকে ৪৬ কেজি হরিণের মাংস, চারটি চামড়া, হরিণ ধরার ফাঁদ ও বন্দুকের গুলি উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। আটক করা হয়েছে পাঁচ শিকারিকে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার দুবলা কচিখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। 

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দুবলার আলোরকোলের জামতলা থেকে হরিণের মাংস ও ফাঁদসহ পাঁচ হরিণ শিকারিকে আটক করে বনরক্ষীরা। তাঁরা হচ্ছেন রাজিব, প্রদীপ, ইউনুস, নওশের ও ইদ্রিস আলী। তাঁদের বাড়ি রামপালের শ্রীফলতলা গ্রামে বলে জানান আলোরকোল ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার সাদিক মাহমুদ। ২৫ জানুয়ারি সুন্দরবনের নীলকমল ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা একটি ট্রলার ২০ কেজি হরিণের মাংস ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ হিরো আকন নামে একজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তির বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার তালতলী এলাকায়। ২৪ জানুয়ারি পাথরঘাটার হরিণঘাটা থেকে কোস্টগার্ড দুইটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে। ২৩ জানুয়ারি শরণখোলা স্টেশনের বনরক্ষীরা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের তানজের বয়াতির বাড়ি থেকে দুইটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে। ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীরা ডিমেরচর থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি হরিণের মাংস ট্রলারসহ দুই শিকারিকে আটক করে। আটক শিকারিরা হচ্ছেন পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামের ইদ্রিস ও নিজাম। ১৮ জানুয়ারি দুবলারচরের নারিকেলবাড়ীয়া থেকে বনরক্ষীরা পাঁচ কেজি হরিণের মাংসসহ দুজনকে আটক করে। এসব ঘটনায় মোট ১০ জনকে আটক করে বনরক্ষীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্র জানায়, ‘সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের জন্য বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী, জ্ঞানপাড়া, শরণখোলার সোনাতলা, পানিরঘাট, মোংলার চাঁদপাই ও খুলনার কয়রা এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাঁরা জেলে বেশে মাছের পাশ নিয়ে সুন্দরবনের গহিনে নাইলনের দড়ি দিয়ে তৈরি ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে জবাই করে মাংস বস্তায় ভরে বরফচাপা দিয়ে রাতে থেকে ফিরে আসেন। পরে গোপনে বিভিন্ন স্থানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।’

সূত্রটি আরও জানায়,  ‘ক্রেতারা শিকারিদের আগে থেকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন। হরিণের এ মাংসের সিন্ডিকেটটি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত সরবরাহ করেন। হরিণ শিকারের বিষয়টি বন বিভাগের টহল ফাঁড়ির অনেক বনরক্ষীরা জেনেও না জানার ভান করেন। শিকারিরা শরণখোলা রেঞ্জের দুবলারচর, কচিখালী, চান্দেশ্বর, কটকা, সুপতি, টিয়ারচর, কোকিলমনি, আন্ধারমানিকসহ দুর্গম বনাঞ্চলে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করেন। শিকারিদের নাম পরিচয়ও এলাকার অনেকে জানেন।’  

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)  মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরিণ শিকার বন্ধে বনরক্ষীরা সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম ও নজরদারি রাখছেন।’ নিয়মিত টহলের কারণেই হরিণ শিকারিরা আটক হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

বাগেরহাট হাসপাতাল: আইসিইউ বন্ধ ১ বছর সেবাবঞ্চিত রোগীরা

চিতলমারীতে সারের ডিলার নিয়োগে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ

বিষমুক্ত বেগুন চাষে মুরাদের বাজিমাত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

ফকিরহাটে ‘গুপ্তধনের’ খোঁজে প্রাচীন মন্দিরে গোপনে খনন

সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ মারা গেছেন

বাগেরহাটের চিতলমারী: হাসপাতাল চলছে ২ চিকিৎসকে

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের রেকর্ড