বাগেরহাটের চিতলমারীতে খাল থেকে লাভলী বেগম (৪৫) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরচিংগড়ী গ্রামের মফিজুর রহমানের বাড়ির পাশের নালুয়া-চরচিংগড়ী খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত লাভলী বেগম ওই গ্রামের মনছুর আলী শেখের মেয়ে।
স্বজনদের অভিযোগ, লাভলী বেগমকে তাঁর মাদকাসক্ত ছেলে রাব্বি খাকী (২৫) হত্যা করে খালের কচুরিপনার নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর থেকেই রাব্বি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই মো. আফজাল শেখ জানান, লাভলীর প্রথম বিয়ে হয় শান্তিখালী গ্রামের আনোয়ার খাকীর সঙ্গে। এই সংসারে রাব্বির জন্ম। পরে তিনি বাগেরহাটের মনিরুজ্জামানের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই ঘরে তাঁর সেরা (১০) ও লাবণী (৭) নামে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামী মনিরুজ্জামান মারা যাওয়ার পর লাভলী তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে পরানপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
আফজাল শেখ বলেন, ‘রাব্বি মাদকাসক্ত হয়ে প্রায়ই টাকার জন্য আমার বোনকে মারধর করত। গত ২০ মে রাতে পারিবারিক বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর থেকেই লাভলী নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গিয়ে খালের পানিতে তাঁর মরদেহ দেখতে পান।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাভলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নিহতের ছেলে রাব্বিকে সন্দেহ করা হচ্ছে, সে পলাতক রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’