হোম > আড্ডা

প্রতিবাদ

সম্পাদকীয়

রেডিওতে বাজানো বন্ধ করে দিলেন উস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ। তাঁর ওপর কি কোনো অবিচার হয়েছিল? একেবারেই না। তিনি সেখানে যথেষ্ট সম্মান পেতেন। কিন্তু তিনি দেখলেন রেডিওতে শুরু হয়ে গেছে পক্ষপাত। হঠাৎ করেই সেখানে শিল্পীদের ক্যাটাগরি বানানো শুরু হলো। কেউ হলো এ ক্যাটাগরির শিল্পী, কেউ বি, কেউ সি। উস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ ভাবেন, শিল্পীর আবার ক্যাটাগরি কী? শ্রোতাদের কেউ এর গান পছন্দ করেন, কেউ ওর গান পছন্দ করেন। শিল্পীদের মধ্যে আবার কে ভালো, কে মন্দ, সে বিচার আসবে কেন?

বিলায়েৎ খাঁ বুঝলেন, এটা সংগীত নিয়ে রাজনীতি। যাঁরা শিল্পীদের ক্যাটাগরিতে ফেলবেন, তাঁরা কতটা যোগ্য, সে প্রশ্নও এল তাঁর মনে। ভাবলেন, যদি বিসমিল্লাহ খানকে ক্যাটাগরিতে ফেলতে হয়, তাহলে কে নেবে তাঁর পরীক্ষা? বিসমিল্লাহ খাঁ ব্যাপারটা কী, সেটা কি বুঝবে এই পরীক্ষকের দল?

রেডিওর সঙ্গে বিলায়েৎ খাঁর ঝগড়াটা ছিল অন্য শিল্পীদের জন্য। যাকে ইচ্ছে এ ক্যাটাগরি দেওয়া হচ্ছে, কাউকে কেটে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে বি ক্যাটাগরিতে। এটা ভালো লাগল না তাঁর। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আমি সে জায়গায় যাব না, যেখানে গুরু-শিষ্য সবাই একই স্টেজে বসে গান করবে, অথচ একজনকে বেশি টাকা দেওয়া হবে, অন্যজনকে কম! সেই যে রেডিও ছাড়লেন, আর সে পথে পা বাড়ালেন না। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় থাকলেন রেডিও থেকে দূরে। কিন্তু নীতির প্রশ্নে আপস করেননি।

তেমনি তিনি বিভিন্ন পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করেছেন। রেডিও আর সরকারি পুরস্কারে যে পক্ষপাত আছে, তা মেনে নিতে পারেননি। এই পক্ষপাতিত্বের কথাটা সবার সামনে আনার জন্যই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন পুরস্কার।

তবে হ্যাঁ, রেডিও-টেলিভিশনে না বাজিয়ে দর্শক-শ্রোতাকে বঞ্চিত করেছেন—সে কথা মানেন তিনি। বাজনা শোনাতে না পেরে তিনি নিজেও নিজেকে বঞ্চিত করেছেন। তাঁর দুঃখ, তাঁর অভিমান, তাঁর প্রতিবাদ বেজে উঠত তাঁর বাজনায়।

সূত্র: উস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ, কোমল গান্ধার, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৪

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার

চটপটিটা মজার