হোম > ল–র–ব–য–হ

পানির ওপর ভাসছে কেরালার ছবির মতো সুন্দর যে গ্রাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

কাদামাক্কুডির একাংশের মনোমুগ্ধকর ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কেরালার কাদামাক্কুডি গ্রামটি পৃথিবীর আর দশটা গ্রামের তুলনায় হয়তো একেবারেই আলাদা। গ্রামটি যেন পানির ওপর ভাসছে। গ্রামের বিভিন্ন অংশ স্থলপথে কেবল সংযোগ সড়ক দিয়েই যুক্ত। এর বাইরে পুরো গ্রামটাই পানি দিয়ে ঘেরা। সম্প্রতি গ্রামটি আলোচনায় এসেছে ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী মাহিন্দ্রার চেয়ারম্যানের বদৌলতে।

মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা সম্প্রতি এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে ইন্টারনেটে তাক লাগিয়েছেন। অনুপ্রেরণামূলক ও হৃদয়ছোঁয়া কনটেন্ট শেয়ার করার জন্য পরিচিত আনন্দ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের কেরালার কোচির কাছাকাছি অবস্থিত ছবির মতো সুন্দর দ্বীপাঞ্চল ‘কাদামাক্কুডি’ সফর করতে যাচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বরে কোচিতে ব্যবসায়িক সফরের সময় তিনি সেখানে যাবেন বলে জানান।

এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কেরালার কাদামাক্কুডি। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গ্রামগুলোর তালিকায় প্রায়ই উঠে আসে...এটি আমার পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ডিসেম্বরের জন্য। কারণ ওই সময় আমি কোচিতে ব্যবসায়িক সফরে থাকব, যেখান থেকে মাত্র আধঘণ্টার পথ।’

এই বার্তার সঙ্গে তিনি কাদামাক্কুডির মনোমুগ্ধকর একটি ভিডিওও শেয়ার করেন। পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতা, ছবি ও ভ্রমণ-সংক্রান্ত পরামর্শ শেয়ার করতে থাকেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এটি যেন কেরালার প্রকৃত সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি খুবই ভাগ্যবান। কুয়াশাভেজা সকাল, সোনালি সূর্যাস্ত আর এক অপার্থিব নিস্তব্ধতা...এটি কেরালার সবচেয়ে লুকানো রত্ন, যা সবার চোখের সামনে থেকেও অনেকের অজানা।’

তৃতীয় আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘দয়া করে আবহাওয়ার অবস্থা জেনে যাবেন। বৃষ্টি বা শীতের সময়ই এই জায়গাটা সত্যিই অপূর্ব লাগে। প্রচণ্ড গরমে ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে এর অর্ধেক সৌন্দর্যও থাকে না।’ আরও একজন লেখেন, ‘অবিশ্বাস্য! আমার মতে, কাদামাক্কুডি হচ্ছে শান্তি আর প্রকৃতির নিখুঁত মেলবন্ধন।’

কাদামাক্কুডি মূলত ১৪টি দ্বীপের একটি শান্তিপূর্ণ গুচ্ছ, যা কোচি শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাতীয় মহাসড়ক ৬৬-এর পাশে অবস্থিত নিকটতম শহর ভারাপুঝা। এই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে রয়েছে ভালিয়া কাদামাক্কুডি, মুরিক্কা, পালিয়াম থুরুথসহ আরও কিছু ছোট-বড় দ্বীপ। কাদামাক্কুডি বিখ্যাত এর নির্জন পরিবেশ, কেরালার বিখ্যাত ব্যাকওয়াটার, সবুজ ধানখেত ও গ্রাম্য জীবনের জন্য।

পর্যটকেরা এখানে নৌ-ভ্রমণ, কায়াকিং, পাখি দেখা ও ফটোগ্রাফির পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ যেমন চিংড়ি চাষ, তাড়ি সংগ্রহ আর নারিকেল দিয়ে তৈরি দড়ি বানানোর কাজও দেখতে পারেন। এই এলাকায় ‘পোক্কালি’ ধান চাষ খুবই জনপ্রিয়, যা লবণাক্ত পানিতে টিকে থাকতে সক্ষম। ২০০৮ সালে এই ধানের জাত ‘জিআই ট্যাগ’ পায়, যা এর স্বাতন্ত্র্য ও গুণগত মানের স্বীকৃতি।

২৩ লাখ টাকার ‘ডিম’ গিলে ফেললেন যুবক, এক সপ্তাহ পর যেভাবে উদ্ধার করল পুলিশ

১৯ হাজার ডলারের ‘ডিম’ গিলে যুবক কারাগারে

জরায়ুহীন হয়ে জন্মেছিলেন, তাঁর হয়ে সন্তান জন্ম দিলেন প্রিয় বন্ধু

বিড়ালের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করল নিউজিল্যান্ড সরকার

৮০টি সেলাই ও ২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বাঁচল একটি কোবরা

দুই টার্কি মুরগিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্ষমা’ করলেন ট্রাম্প

মৃত মায়ের বেশ ধরে তাঁর পেনশনের টাকা তুলছিলেন ছেলে

আদালতে প্রিয় শিল্পীর পরচুলা পরে, গান বাজিয়ে চাকরি হারালেন বিচারক

প্রয়াত মায়ের চিলেকোঠায় পুরোনো কমিক বই, বিক্রি হলো ৯১ লাখ ডলারে

ক্যাটসতাম্বুল: যে শহরে পথের রাজা মানুষ নয়, বিড়াল