হোম > ল–র–ব–য–হ

আদালতে প্রিয় শিল্পীর পরচুলা পরে, গান বাজিয়ে চাকরি হারালেন বিচারক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ম্যাথিউ থর্নহিল। ছবি: সংগৃহীত

মিজৌরির এক বিচারক আদালতে এলভিস প্রিসলির উইগ পরে বসতেন এবং বিচার চলাকালে নিজের ফোন থেকে গায়কের গান বাজাতেন। আর এই বিচিত্র শখই তাঁর চাকরি জীবনের ইতি টেনে দিচ্ছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছেছেন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় এবং তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসের উপশহরের বিচারক ম্যাথিউ থর্নহিল আদালত কামরায় এমন উইগ পরে থাকা ও বিচার চলাকালে গান শোনা দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের শুনানি এড়াতে অঙ্গরাজ্য প্রশাসনের বিচার বিভাগের একটি বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। চুক্তি অনুসারে, তিনি ছয় মাস বিনা বেতনে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। এরপর আরও ১৮ মাস দায়িত্ব পালন করে সেন্ট চার্লস কাউন্টি সার্কিট কোর্ট থেকে অবসর নেবেন।

মিজৌরি সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র বেথ রিগার্ট জানান, গত মাসে হওয়া এই সমঝোতা এখন আদালতের অনুমোদনের অপেক্ষায়। গত বৃহস্পতিবার আদালত থর্নহিলের পক্ষে জমা দেওয়া ৩৫টি চরিত্র সনদের চিঠি গ্রহণ করেছে। থর্নহিল নিজ ব্যাখ্যায় লিখেছেন, কখনো কখনো মামলার বাদী–বিবাদীদের স্বস্তি দিতে তিনি ‘কিছুটা হাস্যরস যোগ করতে’ চেয়েছিলেন। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন, এতে আদালতের মর্যাদা ও গাম্ভীর্য ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

কার অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা জানা যায়নি। থর্নহিলের আইনজীবী নিল ব্রুনট্রাজার শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফোনকলের তাৎক্ষণিক জবাব দেননি। অবসর ও শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিশন থর্নহিলের ‍রাজনৈতিক মন্তব্যকেও ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে প্রথমেই তাঁর ‘রক অ্যান্ড রোল কিং’ খ্যাত এলভিস প্রিসলির প্রতি ঝোঁকের প্রসঙ্গ আমলে নেওয়া হয়। মামলার নথিতে আদালতের ভেতরে বা স্টাফদের সঙ্গে প্লাস্টিকের এলভিস উইগ ও গাঢ় চশমা পরে তোলা থর্নহিলের বিভিন্ন ছবিও সংযুক্ত আছে।

কমিশনের তথ্যমতে, হ্যালোইনের সময় থর্নহিল প্রায়ই আদালতে এ উইগ পরে আসতেন এবং সাক্ষ্য দেওয়ার আগে শপথ নেওয়ার বিভিন্ন “স্টাইল” বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতেন। তার এক বিকল্পে তিনি নিজের ফোন থেকে এলভিসের গান বাজিয়ে শপথ নিতেন। আদালতে প্রবেশের সময়ও তিনি কখনো এলভিসের গান বাজাতেন।

এ ছাড়া থর্নহিল মাঝে মাঝে এলভিসের গান, জন্মতারিখ বা মৃত্যুদিনের প্রসঙ্গ টেনে আনতেন, যদিও সেগুলোর সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কমিশন জানায়, এ সব আচরণ আদালতের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা বজায় রাখার বিধি ভঙ্গ করেছে এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। কত দিন ধরে এই আচরণ চলছিল তা উল্লেখ করা হয়নি।

থর্নহিল সেন্ট চার্লস কাউন্টির দীর্ঘতম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা বিচারক। এর আগে তিনি সেখানকার সহকারী প্রসিকিউটর ছিলেন। আদালতের ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনীতে বলা আছে, তিনি ২০০৬ সালে অ্যাসোসিয়েট সার্কিট জজ এবং ২০২৪ সালে সার্কিট জজ হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান দায়িত্ব পারিবারিক আদালত। ২০০৮ সালে তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছিল এবং ৭৫০ ডলার জরিমানা দিতে হয়েছিল এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে।

জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠল শিশু, অলৌকিক জন্ম দেখল ক্যালিফোর্নিয়া

অন্য নারীর ছবিতে লাইক দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাসভঙ্গের শামিল: তুরস্কের আদালত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

লিংকডইনে গার্লফ্রেন্ড চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর যা ঘটল

অফিসে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ায় চাকরি হারালেন প্রকৌশলী

ব্যর্থ ব্যবসায়ী ফুড ডেলিভারি করে লাখপতি

বিমানের ডানায় আটকে গেল প্যারাস্যুট, অলৌকিকভাবে বাঁচলেন স্কাইডাইভার

সময়ের আগে অফিসে যাওয়ায় চাকরিচ্যুত নারী