হোম > প্রযুক্তি

অভিবাসী কর্মীর বদলে রোবট ব্যবহারের পরামর্শ যুক্তরাজ্যের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ফল ও সবজি তোলার জন্য রোবটিক ও অটোমেটেড যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু করেছেন বলে জানান ফিলিট। ছবি: সংগৃহীত

স্বল্প মজুরির অভিবাসী কর্মী নিয়োগ দেওয়ার বদলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও রোবট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের শ্যাডো বা ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলপ। তিনি বলেন, স্বল্প মজুরির শ্রমিক অভিবাসী নিয়োগের পরিবর্তে ‘ফল ও সবজি তুলে আনার মতো কাজের জন্য অনেক বেশি অটোমেশন বা রোবট ব্যবহার করে থাকে অন্যান্য দেশ। যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসনের সংখ্যা কমাতে প্রযুক্তিতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান ফিলিপ।

ক্রিস ফিলিপ বিষয়টি নিয়ে একটি উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ফল ও সবজি তোলার জন্য রোবটিক ও অটোমেটেড যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু করেছে। আমাদের তুলনায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৯ গুণ বেশি রোবট ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি মডুলার কাঠামো ব্যবহার করে, যা অনেক বেশি দ্রুত ও কার্যকর। ব্রিটিশ শিল্পের অনেক কিছুই আছে, যার প্রসার ঘটতে পারে, তবে এর জন্য অনেক স্বল্প মজুরির অভিবাসী কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন নেই।

গত বুধবার এক অপ্রত্যাশিত সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি বাডেনচ বলেছেন, তাদের দল অভিবাসনসংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ভুল করেছে। তিনি ‘প্রতিটি নীতি, চুক্তি এবং আমাদের আইনি কাঠামোর অংশ’ পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন (ইসিএইচআর) এবং মানবাধিকার আইনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, তাঁর দল এখনো অনিয়মিত অভিবাসনের জন্য একটি ‘প্রতিরোধ’ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। তবে শ্রম দ্বারা বাতিল করা রুয়ান্ডা প্রকল্প পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি।

অপরদিকে দুই সপ্তাহ আগে এই প্রকল্প পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিলিপ। গত বৃহস্পতিবার তিনি আরও জানান, লেবার পার্টি ‘রুয়ান্ডা প্রকল্পটি শুরু হওয়ার আগেই বাতিল করে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, রুয়ান্ডা অভিবাসন প্রকল্প ছিল যুক্তরাজ্য সরকারের একটি বিতর্কিত অভিবাসননীতি। ২০২২ সালে অনুমতি ছাড়া যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য এই পরিকল্পনা ঘোষণা করে রক্ষণশীল সরকার। এর উদ্দেশ্য ছিল ইংল্যান্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করা শরণার্থী ও অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া। সেখানে তারা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবে।

কনজারভেটিভ দলের নেতারা অভিবাসননীতি নিয়ে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। কেমি বাডেনচ অভিবাসনের ওপর একটি ‘কঠোর সংখ্যাগত সীমা’ আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই সংখ্যা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা পরবর্তী সময়ে ব্যাখ্যা করবেন তিনি।

ক্রিস ফিলিপ বলেন, মোট অভিবাসনের সংখ্যা ৩ রাখ ৫০ হাজার, তা ‘অত্যধিক’ হবে, তবে তিনি সীমা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা দেননি। তিনি আরও বলেন, ঠিক কতজন উচ্চ দক্ষ ও উচ্চ বেতনের লোক দরকার, কতজন লোক এখানে সঠিক ডিগ্রি কোর্স করতে আসছেন, সে বিষয়ে সঠিক মাইগ্রেশন সিস্টেম নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া অভিবাসীদের জন্য সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা যাচাই করা হবে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের