চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটবট হিসেবে প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থানে যাওয়া শুরু করেছে গুগলের ‘বার্ড’। এর অন্যতম কারণ হলো— বার্ডের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আরও পেছনে ফেলতে চ্যাটজিপিটিতে ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে এসেছে ওপেনএআই। ফলে চ্যাটজিপিটিতে এখন থেকে হালনাগাদ তথ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উত্তর দিতে পারছে।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ মে টুইটারে এক পোস্টে ওপেনএআই ঘোষণা দেয়, ‘আমরা আগামী সপ্তাহে চ্যাটজিপিটির সমস্ত ‘প্লাস’ সাবস্ক্রাইবারদের জন্য ওয়েব ব্রাউজিং ও প্লাগিনের সুবিধা চালু করছি।’
আগে, চ্যাটজিপিটি শুধু প্রশিক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতেই উত্তর দিতে সক্ষম ছিল। ফলে চ্যাটবটটি নতুন তথ্যসমৃদ্ধ লেখা লিখতে পারত না। তবে ইন্টারনেটের সঙ্গে চ্যাটজিপিটির সংযুক্তির ফলে চ্যাটজিপিটি এখন থেকে প্রশিক্ষিত তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি হালনাগাদ তথ্য প্রদান করবে।
গত ২৫ এপ্রিল এক ব্লগ পোস্টে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ঘোষণা দেয়, চ্যাটজিপিটিতে একটি নতুন সেটিং যুক্ত হয়েছে, যার ফলে ব্যবহারকারীরা তাঁদের চ্যাট সংরক্ষণ হওয়া বন্ধ রাখতে পারবেন। সংরক্ষণ বন্ধ রাখা হলে চ্যাটজিপিটির মডেলটিকে উন্নত করতে চ্যাটের তথ্য ব্যবহার করতে পারবে না ওপেনএআই। কথোপকথনগুলো ৩০ দিন রাখার পর ওপেনএআইয়ের সিস্টেম থেকে মুছে ফেলা হবে।