২০২৩ সাল যেন ছিল ক্লাব ফুটবলে দলবদলের এক বছর। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি—দুই তারকা ফুটবলার ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমান ভিন্ন দুই মহাদেশে। রোনালদো, মেসির মতো আরও অনেক তারকা ফুটবলারের ক্লাব বদল হয়েছে। খেলোয়াড়দের কেনাবেচায় তাই হয়েছে রেকর্ড।
বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা গতকাল গ্লোবাল ট্রান্সফার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে ক্লাবগুলো খরচ করেছে ৯৬৩ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২-এর তুলনায় খরচ বেড়েছে ৪৮.১ শতাংশ। ২০২৩ সাল ছাড়িয়ে গেছে ২০১৯ সালকেও। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে।
ইউরোপীয় ফুটবলে গত বছর অনেক তারকা খেলোয়াড়ের ক্লাব বদল হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জুড বেলিংহাম, হ্যারি কেইন ও এনজো ফার্নান্দেজের দল বদল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যান জুড বেলিংহাম। হ্যারি কেইন গেছেন বায়ার্ন মিউনিখে। তাঁর সাবেক ক্লাব ছিল টটেনহাম। ফার্নান্দেজ বেনফিকা ছেড়ে পাড়ি জমান চেলসিতে। এসব তারকা খেলোয়াড়দের দলবদলেই গত বছর ক্লাব ফুটবলে খরচ বেড়েছে। ফিফা জানিয়েছে, ইংলিশ ক্লাবগুলো সবচেয়ে বেশি ২৯৬ কোটি টাকা করেছে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো। অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফার ফি পেয়েছে জার্মানি। জার্মানির ক্লাবগুলো পেয়েছে ১২১ কোটি ডলার। তাতে প্রথমবারের মতো কোনো নির্দিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে ক্লাবগুলো ১০০ কোটির বেশি আয় করেছে এক পঞ্জিকাবর্ষে। আরও তিন অ্যাসোসিয়েশনের ক্লাব এই তালিকায় রয়েছে। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও ইতালির অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবগুলো আয় করেছে ১১৯ কোটি, ১০৪ কোটি ও ১০১ কোটি ডলার।
২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারে অংশ নিয়েছে ১০২৪ ক্লাব। প্রথমবারের মতো ১০০০ এর বেশি ক্লাব বিদেশি খেলোয়াড় কেনাবেচায় অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে ট্রান্সফার ফি পেয়েছে ১২৪১ ক্লাব। দেশের বাইরে থেকে ১০১৭ ফুটবলার কিনেছে পর্তুগালের ক্লাবগুলো। অন্যদিকে ১২১৭ ফুটবলার ছেড়ে দিয়েছে ব্রাজিল।