হামজা চৌধুরী এসেছেন গতকাল। আজই যোগ দিলেন অনুশীলনে। তাঁকে পেয়ে দল আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। বেড়েছে ভারতকে হারানোর তাড়নাও।
মাঠে নামার আগেই হামজাকে পড়তে হয় ব্যস্ততার মধ্যে। শুভেচ্ছাদূত বানানোর জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁর পিছু ছুটছে। আজও সকালে এক টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন তিনি। তাঁকে ঘিরে এমন চাহিদা নজর কেড়েছে জাতীয় দলের বাকি ফুটবলারদেরও। রাকিব হোসেন জানালেন সেই কথাই।
কিংস অ্যারেনায় অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের রাকিব বলেন, ‘আসলে এখন পর্যন্ত ওরকম বাড়াবাড়ি হয়নি। আজকেই প্র্যাকটিস হবে তাঁর সঙ্গে। তো হামজা ভাই থাকলে এমনিতেই আমাদের দল উজ্জীবিত হয়। তিনি আসাতে আমাদের দল আরও উজ্জীবিত হয়েছে।’
রাকিব আরও বলেন, ‘হামজা ভাই আমাদের অনেক পেশাদার একজন ফুটবলআর। তাঁর এগুলো (ব্যস্ততা) আসলে আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ সে আসার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ব্যস্ত। তো এখন এগুলো আসলে ফুটবলের জন্যই আসলে আমাদের জন্য অনেক ভালো।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়াই লক্ষ্য। ঘরের মাঠে সবশেষ হংকংয়ের কাছে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। একই পরিণতি হয়েছে গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে সেই চিত্র বদলাতে চান রাকিব। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমরা হোম ম্যাচে ভালো খেলছি এবং গোলও করতে পারছি। এক ম্যাচে এক গোল করছি এবং শেষ ম্যাচে আমরা তিন গোল করছি। তো চেষ্টা করব যে সামনের দুটো ম্যাচ আছে, একটা ম্যাচ আমাদের হোম ম্যাচ। তো এই বছরের শেষ ম্যাচ এটা। তো আমরা চেষ্টা করব ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতে দেশবাসীকে একটা ভালো একটা জয় উপহার দেওয়ার জন্য।’