র্যাঙ্কিংয়েই ইংল্যান্ড ও অ্যান্ডোরার বিপক্ষে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ড অবস্থান করছে ৪ নম্বরে। অ্যান্ডোরা রয়েছে ১৭৩ নম্বরে। অনুমিতভাবেই যা ফল হওয়ার কথা, তা-ই হয়েছে গতকাল বাছাইপর্বের ইংল্যান্ড-অ্যান্ডোরা ম্যাচে।
আরসিডিই স্টেডিয়ামে গত রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড। তবু খেপেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কারণ, ম্যাচটা ইংলিশরা জিতেছে ১-০ ব্যবধানে। ম্যাচে ৮৩ শতাংশ বল দখল করে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর ১০ শট করেছে ইংল্যান্ড। এতবার প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গে হানা দিয়ে কেবল একটি গোল করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে কেই বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমরা ভালো খেলতে পারি। আমাদের পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো ছিল না। আমার মনে হয় না মানুষেরা এটা মনে রাখবেন। তবে এখান থেকেই শিখব।’
১ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ইউরোপীয় ফুটবল। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের জার্সিতেও ম্যাচ খেলতে হয়েছে কেইনকে। শুধু তাঁরই নয়, এমন ব্যস্ত সময় কেটেছে ইংল্যান্ডের অন্যান্য ফুটবলারদের। অন্যদিকে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানডা ও মেক্সিকোতে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। তখনো ইউরোপীয় ফুটবলের মৌসুম শেষ করতে না করতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে নামতে হবে খেলোয়াড়দের।
জুন মাসের ব্যস্ত সময়ের কথা বলতে গিয়ে কেইন ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে কী চাপ যেতে পারে, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘জুন ক্যাম্পে কাজ করা সহজ হয় না। লম্বা মৌসুমে অনেক ম্যাচ খেলে আসে এখানে। আজ (গত রাত) তেমন কিছুই দেখেছি। খুব গরম ছিল সেখানে। মাঠও শুকনা। আগামী বছর বিশ্বকাপেও এমন কন্ডিশন থাকবে। আমরা সেখানে গিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করব।’
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত রাতে একমাত্র গোলটি করেছেন কেইন। এটা তাঁর প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারের ৪৫০তম গোল। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলের ‘কে’ গ্রুপের শীর্ষে ইংল্যান্ড। ৪, ৩ ও ১ পয়েন্ট নিয়ে দুই, তিন ও চারে আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও সার্বিয়া। অন্যদিকে অ্যান্ডোরা তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে। ০ পয়েন্ট নিয়ে দলটি পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে।