অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গত রাতে অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হয়েছে লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ বছর লিভারপুলের জার্সিতে খেলা এই ফুটবলার এবার তাদেরই শত্রু বনে গেলেন। লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি শেষে তিনি যোগ দিয়েছেন রিয়ালে। ম্যাচ শুরুর আগে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ম্যুরাল বিকৃত করা হয়। ৮১ মিনিটে তিনি যখন মাঠে নামেন, দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনেছেন। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোর মতে আর্নল্ডের জন্য পরিবেশটা যে এমন প্রতিকূল হবে, সেটা তো জানা কথাই। ম্যাচ শেষে আলোনসো বলেন, ‘এমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই ছিল। সে পেশাদার ও পরিপক্ব ফুটবলার। এমন কিছুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল।’
রিয়ালের বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলে জয়ের ফল ছাপিয়ে গিয়েছিল দুই দলের খেলার ধরন। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলাতেই যেন গত রাতে ব্যস্ত ছিলেন রিয়াল-লিভারপুলের ফুটবলাররা। চ্যাম্পিয়নস লিগের এই ম্যাচে ১৪ ও ১৩ ফাউল করে লিভারপুল ও রিয়াল। আলোনসোর কাছে রিয়াল-লিভারপুল ম্যাচটা রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ বলেন, ‘খুব দারুণ এক খেলা হয়েছে। অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের সময় পরিবেশ সব সময় এমনই থাকে।’
৮১ মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে নামানো হয়েছে আর্দা গুলারের পরিবর্তে। বদলি হিসেবে নেমেও আর্নল্ড তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। পাশাপাশি দর্শকদের দুয়োধ্বনি তো ছিলই। তবু শিষ্য আর্নল্ডকে আগলে রাখছেন আলোনসো, ‘ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের থেকে এমন খেলা অবশ্যই দরকার ছিল। উইং থেকে সে হুমকি হিসেবে কাজ করছিল।’ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুল মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডমিনিক সোবোসলাইয়ের পাস রিসিভ করে হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিভারপুলের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনিই দেখেছেন হলুদ কার্ড। ৭৮ মিনিটে তাঁর পরিবর্তে কুর্তিস জোনসকে মাঠে নামায় লিভারপুল।