বোমা ফাটালেন তারিক কাজী। বেতন বকেয়া থাকার অভিযোগে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। ঘরোয়া মৌসুম শুরু হলো কেবল, এর মধ্যেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো ফুটবলার মৌসুমের মাঝপথে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়াটা বিরলই।
২০১৯-২০ মৌসুমে তিন বছরের চুক্তিতে বসুন্ধরায় যোগ দেন তারিক। ফিনল্যান্ড প্রবাসী হওয়ায় শুরু থেকে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকেন তিনি। রক্ষণের দক্ষতা দেখিয়ে জাতীয় দলেও হয়ে ওঠেন নিয়মিত মুখ।
বসুন্ধরায় ৬ বছরের অধ্যায় থামিয়ে ফেসবুকে তারিক লেখেন, ‘আজ আমি বকেয়া বেতন পরিশোধ না হওয়ার কারণে আইনগতভাবে আমার চুক্তি বাতিল করেছি বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে। একজন ফুটবলারের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন নীরবতা বহন করা প্রচণ্ড বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।’
বারবার বেতন বিলম্ব থাকার চাপটা আর সামলাতে পারছিলেন না তারিক। তাই এমন সিদ্ধান্ত, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি অনিয়মিত ও বিলম্বিত বেতন পরিশোধের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, যা আমাকে শুধু একজন পেশাদার হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও পরীক্ষা করেছে। এটি শুধু আর্থিক কষ্ট ছিল না; এটি ছিল এক মানসিক চাপ, যা প্রকৃত পেশাদাররা নিঃশব্দে বহন করে। তবুও প্রতিদিন আমি একই ভালোবাসা নিয়ে জেগেছি মাঠে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি, আর অন্তরে লড়েছি এক নীরব যুদ্ধ; ভালোবাসা ও অবিচারের মাঝে।’
ভবিষ্যতে কোন ক্লাবে দেখা যাবে তাঁকে সেই ব্যাপারে কোনোকিছু খোলাসা করেননি তারিক, ‘আমি বসুন্ধরা কিংস ছেড়ে যাচ্ছি গর্ব নিয়ে, কোন কষ্ট নিয়ে নয়। পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমার হৃদয় ভরপুর থাকবে সেই বিশেষ মুহূর্তগুলোতে, যা আমি সারাজীবন মনে রাখব! আমার গল্প এখানেই শেষ নয়। এটি কেবল নতুন অধ্যায়ের শুরু।’