কুয়াশার কারণে দিনেদুপুরে ম্যাচের ১৫ মিনিট পরই জ্বলল ফ্লাডলাইট। গ্যালারির এক কোনায় কিছু দর্শক আগুন জ্বালিয়ে লড়াই করছিলেন শীতের সঙ্গে। মাঠে অবশ্য লড়াই চলছিল পুলিশ ফুটবল ক্লাব আর সেনাবাহিনী স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে সব আলো কেড়ে নিলেন তনিমা বিশ্বাস। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ভক্ত এই মিডফিল্ডার দৃষ্টিনন্দন জোড়া গোলে পুলিশকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সেনাবাহিনী।
বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে বিলম্ব হয় ১৬ মিনিট। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নারী ফুটবল লিগই হচ্ছে দেড় বছরের বেশি সময় পর। কমলাপুর স্টেডিয়ামে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অপেক্ষা করতে হয় ৪০ মিনিট। এর আগ পর্যন্ত গোছাল ফুটবল উপহার দেয় সেনাবাহিনী। একদিনের অনুশীলনে মাঠে নামা পুলিশ সেভাবে তালমেল গড়তে পারেনি। যদিও ১২ মিনিটে মোসাম্মৎ সাগরিকার সামনে ছিল সুবর্ণ সুযোগ। তাঁর বাঁ পায়ের শট সহজেই তালুবন্দী করেন সেনাবাহিনীর গোলরক্ষক মিলি আক্তার।
৪০ মিনিটে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে শট নিলেন তনিমা বিশ্বাস। বল হাওয়ায় ভেসে লাফিয়ে ওঠা পুলিশের গোলরক্ষক তাসলিমার গ্লাভস ফাঁকি দিয়ে লুটোপুটি খেলো জালে। তনিমা নিজেও সেটা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
বিরতির পর দ্বিতীয় গোলটি এল ৭০ মিনিটে। মোসাম্মৎ সুলতানার থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকেই শট নেন তনিমা। বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। প্রথম গোলে না হলেও দ্বিতীয় গোলে ঠিকই পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর মতো ‘সিউ’ স্টাইলে উদ্যাপন সারেন এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচশেষে জানালেন সেই উদ্যাপনের কারণ, ‘রোনালদোর জার্সি নম্বর ৭ আর আমারও ৭। তাঁর উদ্যাপন দেখেছিলাম, তাই আমিও করলাম। আগেও যখন সেনাবাহিনীর হয়ে অভিষেক ম্যাচে দুটি গোল করেছিলাম, তখনো এই উদ্যাপন করেছিলাম।’
জাতীয় দলের হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হয় তনিমার। ছিলেন গত নভেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও। প্রথম গোলটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেভাবেই অনুশীলন করানো হয়েছিল যে রিটার্ন বল এলে যেন আমরা বারে চেষ্টা করি। এটা হয়ে গেছে। ভাবতে পারিনি যে গোল হবে।’