হোম > খেলা > ফুটবল

৩৭ বছরের কোচের অধীনে ২২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ইপসউইচ

পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার জন্য মাত্র ১৬ বছর বয়সে উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে নিজের ঘর ছেড়ে লন্ডনে চলে এসেছিলেন কাইরান ম্যাককেনা। যোগ দিয়েছিলেন টটেনহামের যুব একাডেমিতে। কিন্তু ধারাবাহিক নিতম্বের চোটে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। খেলা হয়নি শীর্ষ লিগে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক দলে খেললেও জাতীয় দলের জার্সিটা কখনো পরতে পারেননি তিনি। 

মাত্র ২২ বছর বয়সে বুটজোড়া তুলে রাখতে হয় ম্যাককেনাকে। তবে ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কমেনি। ২০১৮ সালে টটেনহামের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। বয়স তখন কত? মাত্র ২৯ বছর। এ বয়সে অনেকে খেলোয়াড়ি জীবনে থাকেন সাফল্যের চূড়ায়। ম্যাককেনার জীবনেরও সাফল্য এসেছে। সেটি কোচিংয়ে এসে। ৩৭ বছর বয়সেই যে এই কোচ ইতিহাস গড়লেন! 

২০২১ সালে ম্যাককেনা দায়িত্ব নেন ইপসউইচ টাউনের। ধুঁকতে থাকা ক্লাবটি তখন খেলছে ইংলিশ ফুটবলের তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ ওয়ানে। পরের মৌসুমে ম্যাককেনা দলটিকে দ্বিতীয় বিভাগে বা চ্যাম্পিয়নশিপে তুলে নিয়ে আসেন। ইপসউইচ লিগ ওয়ানে ২০২২-২৩ মৌসুম শেষ করে দুইয়ে থেকে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করায় তৃতীয় বিভাগে নেমে গিয়েছিল ক্লাবটি। 

ম্যাককেনার সাফল্য সেখানেই থেমে যায়নি। চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের প্রথম মৌসুমেই চমক দেখায় ইপসউইচ। আজ তো ইতিহাসও গড়ল। নিজেদের মাঠ পোর্টম্যান রোডে হাডার্সফিল্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২২ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফেরা নিশ্চিত করেছে ম্যাককেনার ইপসউইচ। 

২০২৩-২৪ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সবার আগে শীর্ষ লিগে ফেরা নিশ্চিত করেছিল লেস্টার সিটি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে রূপকথার গল্প লিখে লিগ জেতা জেমি ভার্ডিরা অবনমন অঞ্চলে থেকে গত মৌসুম শেষ করায় চলে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখান থেকে তারা ফিরল চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ৪৬ রাউন্ডের এই লিগে ৯৭ পয়েন্ট পাওয়া লেস্টার গত সপ্তাহে নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। 

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা তিন দল অবনমন হয়ে চলে যায় চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখান থেকে শীর্ষ তিন দল ফেরে প্রিমিয়ার লিগে। তবে সরাসরি সুযোগ পায় শীর্ষ দুই দল। বাকি স্থানের জন্য চার দলকে খেলতে হয় প্লে অফ। এক মৌসুম পর লেস্টার আবারও লিগে ফেরায় দ্বিতীয় স্থানের জন্য লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে লড়াই চলতে থাকে ইপসউইচের। 

আজ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ রাউন্ডে এসে সেই লড়াইয়ের সমাধান হয়েছে। ইপসউইচ যদি হেরে যেত আর লিডস জিতত তবে দুই দলের পয়েন্ট হতো সমান ৯৩, তখন পড়তে হতো কঠিন সমীকরণে। গোলে যারা এগিয়ে থাকত, ফেরা নিশ্চিত করত প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য এ জায়গায় এগিয়ে ছিল ম্যাককেনার দল। তারপরও ঝুঁকি নেয়নি ইপসউইচ। হাডার্সফিল্ডকে হারিয়ে ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করেছে লিগে ফেরা। আর লিডস নিজেদের মাঠে ১-২ গোলে হেরে বসে সাউদ্যাম্পটনের বিপক্ষে। ইপসউইচ সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিল ২০০২। একবারের লিগ (১৯৬১-৬২) চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সেবার অবনমন হয়েছিল লেস্টারেরও।

‘অবিশ্বাস্য’, পেনাল্টি ঠেকিয়ে হাত ভাঙা গোলরক্ষক প্রসঙ্গে পিএসজি কোচ

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

৫ গোলের থ্রিলারে রহমতগঞ্জের জয়, অঘটনের শিকার আবাহনী

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্রপ্রধানের অভিনন্দন

আর্জেন্টিনা-স্পেনের ‘ফিনালিসিমা’ কবে, কখন, কোথায়

১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি

রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার আরও কাছে এমবাপ্পে, বেঁচে গেল রিয়াল

২০২৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৬১০ কোটি টাকা