এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি কেবলই নিয়মরক্ষার। চতুর্থ রাউন্ড শেষেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের। মূলপর্বের লড়াইয়ে টিকে আছে কেবল হংকং ও সিঙ্গাপুর। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বরের ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা ও রোমাঞ্চের পাহাড় জমেছে। অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন হামজা-শমিতরা। জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই দেখতে টিকিট নিয়েও ছিল কাড়াকাড়ি। মাত্র চার মিনিটেই শেষ হয়েছে ম্যাচের সব টিকিট।
সফরকারী ভারতও ম্যাচটি হালকাভাবে নিচ্ছে না। বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতি পর্বে জিততে মরিয়া খালিদ জামিলের দল। প্রথম লেগে গত মার্চে শিলংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ভারত। শক্তি বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী উইঙ্গার রায়ান উইলিয়ামসকে দলে নিয়েছে তারা স্কোয়াডে নিয়েছে। দুই দল যখন নিজেদের ছক কষছে তখন ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু দিলেন অন্যরকম বার্তা। ম্যাচ হয়তো দেখতে সুন্দর না হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ থাকবে একইরকম।
ভারতীয় ফুটবলের ওয়েবসাইটে আজ তিনি বলেন, ‘এটি ( এশিয়ান কাপের দৌড়ে না থাকা) ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা তীব্রতা কমিয়ে দেবে ন। বাংলাদেশ দল এবং তাদের সমর্থকদের দারুণ এক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ ভারতের বিপক্ষে খেলা। আমাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সবসময় কঠিন। ম্যাচটি হয়তো দেখতে সুন্দর নাও লাগতে পারে। অগোছালো দেখা যেতে পারে। দল হিসেবে আমাদের যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্য ছিলেন সান্ধু। সে সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি, ‘সেটা অনেক আগের কথা। বাংলাদেশ ফুটবলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে এবং প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা বেড়েছে, জাতীয় দলও আরও ভালো করছে।’
বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ মনে হয় সান্ধুর কাছে, ‘বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সবসময়ই শিক্ষণীয়। এখানে এসে খেলা সহজ নয়। কারণ এই এখানকার ফুটবলে প্রতিযোগিতা হয। প্রতিবেশী হওয়ায় তারা আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায় এবং আমাদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে চায়। জাতীয় দলের সঙ্গে কিংবা যখনই ক্লাব ফুটবলের জন্য এখানে এসেছি, আমার অভিজ্ঞতা অন্তত সেটাই বলে।’
ঢাকায় এসে অনিরাপদ বোধ করছে না ভারতীয় দল। সান্ধু বলেন, ‘এখানকার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম। তবে অবশ্যই খুব আদর্শ নয়। তবে আমরা এখানে ফুটবল খেলতে এসেছি এবং এটাই আমাদের মাথায় আছে। এখানে আসার পর থেকে আমরা অনিরাপদ বোধ করিনি। এখন ভালোভাবেই কাটছে, সবকিছু খুব সুসংগঠিত। সামনে যা আছে এবং মাঠে কী করতে হবে সেটা নিয়ে মনোযোগ দিতে হবে আমাদের।’