সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিভারপুলের। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নেই ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটির। একের পর এক ম্যাচ হেরে বাজে এক রেকর্ডে নাম উঠে গেছে দলটির। ৭২ বছরের ইতিহাসে এত বাজে অবস্থায় আগে কখনোই পড়েনি দলটি।
অ্যানফিল্ডে গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে লিভারপুল-পিএসভি আইন্দহফেন। ডাচ ক্লাবটির কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে লিভারপুল। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে নিজেদের সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই হার দেখেছে আর্নে স্লটের লিভারপুল। এর আগে এমন বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে লিভারপুল গিয়েছিল ১৯৫৩-১৯৫৪ মৌসুমে। ৭২ বছর আগে অলরেডরা ১২ ম্যাচ খেলে ৯টিতেই হেরেছিল। দলের হতশ্রী অবস্থার পরও নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নন স্লট। ৪-১ গোলে হারের পর লিভারপুল কোচ বলেন, ‘আমি নিরাপদে আছি। সবার কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পাচ্ছি। একটা জয়ে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেত; কিন্তু সেটা হয়নি। কোচ হিসেবে এমন বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে।’
৬ মিনিটে ইভান পেরিসিচের গোলে এগিয়ে যায় পিএসভি। সমতায় ফিরতে লিভারপুলের লেগেছে ১০ মিনিট। ১৬ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন অলরেডদের মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবোসলাই। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হজম করেছে লিভারপুল। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছেন পিএসভি মিডফিল্ডার গাস টিল। ৭৩ ও ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করেন পিএসভি ফরোয়ার্ড কুহাইব ড্রিউয়েচ। বাজেভাবে হারের পরও অবাক হননি লিভারপুল কোচ স্লট। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি, খেলোয়াড়—সবার জন্যই এটা অনেক বড় ধাক্কা। আমি অবাক হয়নি ঠিকই। তবে এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত।’
১২ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে লিভারপুলের ওপর। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৩ ম্যাচ ও হেরেছে ২ ম্যাচ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে ১৩ নম্বরে। বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে কোচদের চাকরি চলে যাওয়া বা কোচদের পদত্যাগ করা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এগুলো নিয়ে চিন্তিত নন স্লট। লিভারপুল কোচ বলেন, ‘আমি চিন্তিত নই (লিভারপুলে তাঁর চাকরি নিয়ে)। নিজেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার চেয়ে অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবছি।’
৩৬ দল অংশ নিচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে। প্রতিটি দল যখন আটটি করে ম্যাচ খেলবে, তখন পয়েন্ট টেবিলের প্রথম আট দল আপনাআপনি শেষ ষোলোতে উঠবে। ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুই, তিন, চার ও পাঁচে থাকা পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিটি দলের পয়েন্ট ১২। ছয় থেকে আটে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, চেলসি ও স্পোর্তিং সিপি প্রতিটি দল পেয়েছে ১০ পয়েন্ট।