লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ২০৮ রানের। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে ১৩৩ রানে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তাদের সঙ্গী হয়েছে ৭৪ রানের হার। এভাবে ম্যাচ হারলেও উইকেট নিয়ে কোনো ধরনের অজুহাদ দিতে চান না ক্যারিবীয়দের অধিনায়ক শাই হোপ।
টনি হেমিংয়ের অধীনে অতীতের তুলনায় আরও কালো করা হয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। তাতে বাড়তি সহায়তা পেয়েছে স্পিনাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করার পথে এক রিশাদ হোসেনই নিয়েছেন ৬ উইকেট। মেহেদি হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম ঝুলিতে পুরেন একটি করে উইকেট। অর্থাৎ স্পিনারদের কাছেই ৮ উইকেট হারিয়েছে সফরকারী দল।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রানে তোলে তারা। ৭৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর রিশাদের ঘূর্ণি বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় দলটি। ৬ উইকেট নেওয়ার পথে ৩৫ রান খরচ করেন রিশাদ।
ম্যাচ শেষে হোপ বলেন, ‘এই উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা ছিল। রিশাদ অসাধারণ বোলিং করেছে। তাঁকে মোকাবেলা করাটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। উইকেট স্পিন সহায়ক হওয়ায় ব্যাটাররা সংগ্রাম করেছে। আমাদের দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দিয়েছিল। তবে শুরুতে যেটা বললাম–উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক ছিল। তাই ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল।’
প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন অতিথিদের অধিনায়ক, ‘এই উইকেট চ্যালিঞ্জং ছিল। তবে সেটা দুই দলের জন্যই সমান। এমন না যে খেলার মাঝে উইকেটে পরিবর্তন এসেছে। ওদের (বাংলাদেশ) স্পিনাররা ধারাবাহিকভাবে লাইন লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করে গেছে। যেটা আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা।’