লক্ষ্যই বা আর কত! মাত্র ১৩১। কিন্তু এই রান তাড়া করা দলটি যদি হয় পাকিস্তান, তবে একটু হলেও ভাবনার বিষয় থাকে। তাদের নামের পাশে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি জুড়ে আছে বলেই নয়, ছয় বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রায় এর সমান রান তাড়া করেও জিততে পারেনি পাকিস্তান।
২০১৭ সালে আবুধাবিতে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল লঙ্কানরা। কিন্তু রঙ্গনা হেরাথের ঘূর্ণিতে সর্ষে ফুল দেখা পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৪ রানে। এবার নিজেদের মাঠ গলে তেমন দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি করার পথে স্বাগতিকেরা। সন্ধ্যায় সফরকারীদের বাঁহাতের ভেলকি দেখান প্রবাথ জয়াসুরিয়া।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়েছে পাকিস্তান। দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীদের চেপে ধরেন মূলত প্রবাথ। ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে (৮) ফেরানোর পর শান মাসুদকে (৭) বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি তিনি। রমেশ মেন্ডিস নওমান আলীকে (০) রানআউটটিও করেছেন প্রভাতের ওভারে। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রানে। জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৮৩ রান। আর শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৭ উইকেট। আগামীকাল ব্যাটিংয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করবেন ওপেনার ইমাম-উল-হক (২৫) ও অধিনায়ক বাবর আজম (৬)। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে করে ৪৬১ রান।
বিনা উইকেটে ১৪ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। তবে দিমুথ করুনারত্নে ও নিশান মাদুশকার ওপেনিং জুটি বেশি দূর এগোয়নি। করুনারত্নে (২০) দলীয় ৪২ রানে ফিরলেও ফিফটি তোলে নেন নিশান মাদুশকা (৫২)। এরপর ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের আবারও রক্ষা করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। প্রথম ইনিংসেও ঢাল হয়ে উঠেছিল তাঁর ব্যাট। করেছিলেন সেঞ্চুরি। আজ খেলেছেন ১১৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস।
ধনাঞ্জয়াকে সঙ্গ দেন রমেশ মেন্ডিস। নবম উইকেটে দুজনের ৯৪ রানের জুটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৭ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। এর আগে প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ৩১২ রান।