২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে দেখা গেল দারুণ লড়াই। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে হাই স্কোরিং ম্যাচে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তানজিদ হাসান তামিম যখন ফেরেন, তখন তাঁদের স্কোর ছিল ১৯ রান। ১৯ বলে ২০ রান করে সাহিবজাদা ফারহান আউট হলে ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। রানরেট তখন আটের নিচে। জয়ের জন্য দরকার ৭৩ বলে ১২৯ রান।
শান্ত ও মুশফিকের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সমীকরণ মিলিয়েছে রাজশাহী। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তাঁরা দুজন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত। ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৫৮ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ঘর। টি–টোয়েন্টিতে এটা তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।
মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৩১ বলের ইনিংসটি। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। রুয়েল মিয়ার করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেই উদ্যাপন শুরু করেন তিনি। দুই কানে হাত দিয়ে মুশফিক যেন বোঝাতে চাইলেন, এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি এবং আফিফ হোসেন, রনি তালুকদারদের মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তোলে সিলেট। ৩৩ বলে ইমনের অবদান ৬৫ রান। তাঁর ১৯৬.৯৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। আফিফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। আফিফের ৩৩ রানের আগে রনি ৪১ ও সাইম আইয়ুব করেন ২৮ রান। ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার সন্দীপ লামিচানে।