বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের ঘটনা একেবারে নতুন নয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিংকাণ্ডে অনেকবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়। পাশাপাশি পারিশ্রমিক ইস্যু সংক্রান্ত জটিলতা তো রয়েছেই। এবারের বিপিএলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আঁটঘাঁট বেঁধে নেমেছে।
৩০ নভেম্বর ১২তম বিপিএল নিলামের আগেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এনামুল হক বিজয়সহ পাঁচ ক্রিকেটারকে রেড ফ্ল্যাগের আওতাভুক্ত করা হয়। এর পরপরই সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন তিনি। এবারের বিপিএলে ফিক্সিং ঠেকাতে আইসিসি, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) থাকছে। সিআইডি কী করবে, সেই ব্যাখ্যায় আজ সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিআইডি পর্যবেক্ষণ করবে। মনে করুন চোর আসবে। তাকে তো চুরি করার আগে থামাতে হবে। গোটা বিশ্বে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, আমরা সেটাই অনুসরণ করছি।’
বিপিএল ইতিহাসে ২০২৫ সালে আয়োজিত বিপিএল যেন ফিক্সিংয়ের কালো থাবায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এবার দুর্নীতি দমনে বিসিবি অ্যালেক্স মার্শালকে যুক্ত করেছে, যিনি আইসিসিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন সফলভাবে। ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের পাকড়াও করার প্রক্রিয়া। বিপিএলে ফিক্সিং ঠেকানোর ব্যাপারে আজ মিঠু উল্লেখ করেছেন মার্শালের কথা। বিসিবি আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অ্যালেক্স মার্শাল এই ব্যাপারে (ফিক্সিং ঠেকানো) আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। তাঁর দেখানো গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। আমাদের যে পিএমও (প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিশিয়ালস) অ্যাকসেস, এটা অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ২৫টা যাচাই-বাচাইয়ের পর অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে ২৫টা।’
সিআইডির সঙ্গে আগামীকাল বিসিবি এক সভায় বসবে বলে জানিয়েছেন মিঠু। সাংবাদিকদের আজ বিসিবির এই পরিচালক বলেন,
‘দুর্নীতি দমন বলেন, ইন্টেগ্রিটি ইউনিট বলেন, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন যে আমরা আইসিসি থেকেও দুর্নীতি দমন বিরোধী কর্মকর্তাদের নিয়ে আনছি। আমাদের ইউনিটের পাশাপাশি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটও থাকবে। এছাড়া কাল সিআইডির সঙ্গে একটা বড় মিটিং রয়েছে।’
বিসিবি ২৯ নভেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শালের পরামর্শ অনুযায়ী ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠা ক্রিকেটারদের নিলামে রাখা হবে না। মজার ব্যাপার, এ সিদ্ধান্ত ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য ইভেন্টে প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছিল বিসিবি। এনামুল হক বিজয়, সাঞ্জামুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান, নিহাদুজ্জামান-তাঁদের নাম উঠে গিয়েছিল রেড ফ্ল্যাগে।