নির্বাচনের পর আজ শুরু হয়েছে বিসিবির নতুন পরিচালনা পরিষদের যাত্রা। নির্বাচনের পর কে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্ব পাচ্ছেন এটি নিয়েই ছিল যত কৌতূহল। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিজেই প্রতিটি কমিটির দায়িত্ব বণ্টন করেছেন। বড় চমক, কোনো কমিটিতেই জায়গা হয়নি বিসিবির সহসভাপতি ও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের।
সভাপতি বুলবুল নিজেই ওয়ার্কিং কমিটি, গ্রাউন্ডস কমিটি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্বে আছেন। গতকাল বিকেলে নতুন পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ২৩টি স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা করেন পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পাশে ছিলেন নতুন চার পরিচালক—আব্দুর রাজ্জাক, শাহনিয়ান তানিম, খালেদ মাসুদ পাইলট ও আমজাদ হোসেন।
পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পর মূল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কার্যকরী কমিটির দায়িত্ব বণ্টন। কমিটি গঠন সবচেয়ে বড় চমক, কোনো কমিটিতে নেই ফারুক আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই কমিটিতে থাকতে চাইনি।’ যদিও কালকের সভায় উপস্থিত সূত্র জানিয়েছে, ফারুককে দেওয়ার মতো উপযুক্ত কমিটি নাকি এখনো পাওয়া যায়নি। গুঞ্জন ছিল, ফারুক হতে পারেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। কিন্তু সেটিতে আগের মতো নাজমুল আবেদীন ফাহিমই আছেন। ফাহিমের অধীনে বাংলাদেশ টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। এশিয়া কাপে তৈরি হয়েছিল ফাইনালে ওঠার সুযোগ। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের এই সাফল্যে গতকাল নির্বাচন শেষে কেক কেটে উদযাপনও করা হয়েছে। এখানে এখন ফাহিমকে সরিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখেননি বুলবুল।
খেলোয়াড়-সংক্রান্ত কিছু বিভাগ হাইপারফরম্যান্স, গেম ডেভলেপমেন্ট কিংবা গ্রাউন্ডসেও ফারুক দায়িত্ব পেতে পারতেন। কিন্তু এসব পর্যায়ে যে সময়টা দেওয়ার দরকার, সেটি ফারুক দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে গেছে দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে। আগের বোর্ডে আম্পায়ার্স কমিটিতে ইফতেখার রহমানের উদ্যোগ ছিল প্রশংসিত, তাঁকে একই দায়িত্বে রাখা সমীচীন মনে করেছেন বুলবুল। নিজে সভাপতি থাকার সময়ে বিপিএলের ভাবমূর্তি যে পর্যায়ে নেমেছে, সেখানে ফের ফারুক দায়িত্ব পেলে বিতর্ক হবে বলে মনে করেন একাধিক পরিচালক।
আজকের সভায় উপস্থিত এক পরিচালক তাই প্রশ্ন করলেন, ‘আপনারাই বলুন তাঁকে (ফারুক) কোন বিভাগের দায়িত্বে দিলে ভালো হবে? তিনি এক সময় সভাপতি ছিলেন, সাবেক অধিনায়ক, তাঁর নাম ও কাজের ক্ষেত্রে যায় এমন বিভাগ যে সব আছে, প্রতিটিতেই কোনো না কোনো ইস্যু আছে। তাঁকে কোনো কমিটির দায়িত্ব দেওয়া সভাপতি বুলবুলের জন্য খুবই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু দেখা যাক, আপাতত শুরু হলো বোর্ডের পথচলা। সামনে কয়েক মাসের মধ্যে আবার পরিবর্তন হলে তখন নিশ্চয়ই তিনি কোনো কমিটিতে যুক্ত হবেন।’