সাকিব আল হাসান প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এমআই এমিরেটসের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে বিবর্ণ ছিলেন। নিজের জাত চেনাতে বেশি সময় নিলেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তাতেই একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।
ডেজার্ট ভাইপার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে এমিরেটস। তাদের এই জয়ের নায়ক সাকিব। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন এই ক্রিকেটার। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে ডেজার্ট। তাদের হাতের নাগালে আটকে রাখতে ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। এদিন দলের সেরা বোলার তিনি। সমান ২ উইকেট নিলেও ২ ওভারে ১৭ রান দেন জহুর খান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।
অলরাউন্ড পারফর্ম করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে এটা সাকিবের ৪৫ তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। এই সংস্করণে ম্যাচসেরার তালিকায় যৌথভাবে তিনে উঠে এলেন সাকিব। সমান ৪৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে এই তালিকায় আগে থেকেই ছিলেন রশিদ খান ও অ্যালেক্স হেলস।
একটা জায়গায় এগিয়ে সাকিব। ৪৫ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি জিততে ৫০৪ ম্যাচ লেগেছে রশিদের। হেলসের লেগেছে আরও বেশি; ৫২৪ ম্যাচ। সেখানে ৪৬৫ তম ম্যাচে এসেই তাঁদের ছুঁয়ে দিলেন সাকিব। এখন বাকি দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে।
এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টিতে ৬০ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক মারকুটে ব্যাটার। সমান ৪৮ বার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কাইরন পোলার্ড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে আছেন তাঁরা।