পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের হাত ধরে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন পরের সারির ব্যাটাররাও। তাতে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে সফরকারী দল। অর্থাৎ জিততে হলে ১৮২ রান করতে হবে স্বাগতিকদের।
ক্রিজে নামা আয়ারল্যান্ডের ৬ ব্যাটারই দশকের ঘর স্পর্শ করেছেন। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর সবচেয়ে বড় ঝড়টা বইয়ে দেন হ্যারি টেক্টর। পঞ্চম ওভারে স্টার্লিং তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হলে ক্রিজে আসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে গেছেন এই টপঅর্ডার।
কখনো টিম টেক্টর আবার কখনো লোরকান টাকার কিংবা কার্টিস ক্যাম্ফারকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে ঝড় তুলেছেন টেক্টর। ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এ দিন আয়ারল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। ১ চারের বিপরীতে ৫ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৪৫ বলের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১৫৩.৩৩। শেষ ওভারে ১৭ রান দেন সাকিব। সে ওভারে দুবার বল উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন টেক্টর।
আয়ারল্যান্ডকে বড় পুঁজি এনে দিতে চারটি জুটি গড়েন টেক্টর। দ্বিতীয় উইকেটে সহোদর টিমকে নিয়ে যোগ করেন ২৯ রান। ১৯ বলে ৩২ রান করে ফেরেন টিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে টাকারকে নিয়ে ৩৪ রান তোলেন টেক্টর। টাকার ১৮ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর ক্যাম্ফারের সঙ্গে যোগ করেন ৪৪ রান। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৪ রান আসে ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে। পঞ্চম উইকেটে জর্জ ডকরেলের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন থেকে ৩২ রান এনে দেন টেক্টর। সব মিলিয়ে ব্যাট হাতে দারুণ একটা দিন পার করলেন তিনি।