হোম > খেলা > ক্রিকেট

আফগানদের কাছে রানে সবচেয়ে বড় হার মিরাজদের, প্রথম ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

রিশাদ হোসেনকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর সতীর্থ ফিল্ডারদের সঙ্গে বোলার বিলাল সামির উল্লাস। ছবি: এসিবি

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ধবলধোলাই হওয়ার খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল বাংলাদেশ। এই অবস্থায় করণীয় ছিল একটাই—নিজেদের নিংড়ে দিয়ে খেলা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বাজে এই সিরিজের শেষটাও হলো বাজেভাবে। কাল ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৭.১ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ২০০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে আফগানদের কাছে এটিই সবচেয়ে বড় হার বাংলাদেশের। আগের বড় হারটি ছিল ১৪২ রানের, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে।

এমন বড় হারে দিয়ে আফগানরা ধবলধোলাইও করেছে বাংলাদেশকে। এই সংস্করণে এই প্রথম আফগানদের কাছে ধবলধোলাই হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তরা।

বাংলাদেশ আগের দুই ম্যাচে তুলেছিল ২২১ ও ১০৯ রান। আবুধাবির একই উইকেটে সে হিসেবে ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াইয়ে ২৯৪ রান অতিক্রম্যই ছিল বাংলাদেশ ব্যাটারদের জন্য। সেটি শুরুতেই দুরূহ হয়ে পড়ে ৮১ রানে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ফেললে। সেই নড়বড়ে ব্যাটিং টেকনিক, শট খেলায় ভুল বল নির্বাচন, সর্বোপরি বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের মানসিকতার অভাব—এদিনও ছিল দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরও গতকাল একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈমকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান করেন সাইফ হাসান। ব্যক্তিগত ৭ রান করে নাঈম ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপরই দলের ব্যাটিং লাইনের কাঁধে চাপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার সেই পুরোনো ভূত। তাতে উইকেটে শুধু আসা-যাওয়াই করেছেন ব্যাটাররা। রশিদ খানের বলে আফগানদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে সাইফ হাসান ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৪ বলে করেছেন ৪৩ রান। তাঁর আগে এক অঙ্কের রান করে বিদায় নিয়েছেন নাঈম (৭), শান্ত (৩) ও হৃদয়। এবং সাইফের পরও যারা আউট হয়েছেন, তাঁদের রানও টেলিফোন ডিজিটের মতো! মিরাজ, শামীম, সোহান, তানভির, রিশাদ আউট হয়েছেন যথাক্রমে—৬, ০, ২, ৫ ও ৪ রানে। বাকি দুই ব্যাটার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার রান—৯ ও ২*।

বল হাতে সবচেয়ে সফল বিলাল সামি ৩৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান।

এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে আফগানিস্তান।

ওপেনিংয়ে ১১১ বলে ইব্রাহিম জাদরানের ৯৫ রানের ইনিংসে বড় স্কোরের ভিত পায় আফগানরা। আর শেষ দিকে বর্ষীয়ান মোহাম্মদ নবীর ৩৭ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে পৌনে তিন শ ছাড়িয়ে করে ২৯৩ রান। ৪টি চার ও ৫টি ছয়ে সাজানো নবির ইনিংস। ব্যাট হাতে ইনিংস সর্বোচ্চ রান করা সাইফই ছিলেন সেরা বোলার—৬ রানে নেন ৩ উইকেট।

নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লেখার সামনে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

নিলামের আগেই জানা গেল আইপিএলে কত ম্যাচ খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার

নতুন লিগ খেলতে আমিরাতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ

বিশ্বকাপের আগে দলে বেশি পরিবর্তন চান না লিটন

প্রথম দিনেই কি হার এড়ানোর বন্দোবস্ত করে ফেলল ইংল্যান্ড

পেইনকিলার নেওয়ার পরও শঙ্কায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার

১ যুগের অপেক্ষা ঘুচিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় রুটের প্রথম সেঞ্চুরি, বাকি রইল বাংলাদেশ

১৪ বছর পর ভারতের এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছেন রোহিত

ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে স্টার্ক

অ্যাশেজে সৈকতের আম্পায়ারিংকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গৌরবের বলছেন ইমরুল