প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজন করা হচ্ছে কোনো আইসিসি ইভেন্ট। এক মাস পরই শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক তারা। কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এরই মধ্যে নিউইয়র্কে এসেছে বিশ্বকাপের পিচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ৫৫ ম্যাচের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হবে ১৬ ম্যাচ। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ৮ ম্যাচ। ৩ জুন শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে নিউইয়র্কে কোনো আইসিসি ইভেন্টের যাত্রা। এই মাঠে ১০ জুন মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের এক মাস আগে ১০ পিচ এসে পৌঁছেছে নিউইয়র্ক ভেন্যুতে। পিচ বসানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ফ্লোরিডায় বানানো হয়েছে পিচগুলো। ১৪ হাজার মাইল (২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার) পাড়ি দিয়ে অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে এসেছে সেগুলো।
১০ পিচের মধ্যে ৪ পিচ বসানো হবে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঝে। অ্যাডিলেড ওভালের প্রধান কিউরেটর ড্যামিয়েন হাউ এগুলো তত্ত্বাবধান করছেন। বাকি ৬ পিচ বসানো হবে আশপাশে। যেগুলো প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করা হবে। ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে নেওয়ার জন্য ২০টি সেমিট্রেলার ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। হাউ জানিয়েছেন, পিচগুলো নেওয়ার সময় কোনো রকম ঝক্কি-ঝামেলায় পড়তে হয়নি। অ্যাডিলেড ওভাল কিউরেটর প্রধান বলেন, ‘আমরা এর চেয়ে খুশি হতে পারতাম না। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। পিচগুলো ভালো অবস্থায় আছে এবং সব মানদণ্ডই পূর্ণ করেছে।’
অ্যাডিলেড ওভাল টার্ফ সলুশনের অধীনে গত বছরের শেষের দিকে বানানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ১০টি পিচ প্রথমে ট্রেতে বসানো হয়েছিল। প্রত্যেক পিচকে দুই ট্রেতে ভাগ করা হয়। পিচগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেগুলো একটি শিপিং কনটেইনারের মাধ্যমে জানুয়ারিতে অ্যাডিলেড থেকে ফ্লোরিডার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: