কোনো কিছু উল্টাপাল্টা হলে চুপ করে বসে থাকার পাত্র তো নন রশিদ লতিফ। যে যা-ই মনে করুন না কেন, তিনি প্রতিবাদ করেন তাঁর মতো করে। এবার এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের পরিবর্তে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে কদিন আগে ওয়ানডে অধিনায়ক করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের সমালোচনা করে সামাজিক মাধ্যমে একটা পোস্ট দিয়ে বোর্ডের রোষানলে পড়েন রশিদ লতিফ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পাকিস্তানের সাইবার ক্রাইম এজেন্সি। লাহোরে গতকাল জাতীয় অপরাধ তদন্ত বিভাগের (এনসিসিআইএ) মুখপাত্র নাজিবউল্লাহ হাসান বলেন,‘সাবেক পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটার রশিদ লতিফের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে এবং ইসলামাবাদ ও লাহোরে দুটি তদন্ত কার্যক্রম চলছে।’ পিসিবির সিনিয়র লিগ্যাল ম্যানেজার সৈয়দ আলী নাকভির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাজিবউল্লাহ।
রিজওয়ানকে বরখাস্ত করে শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করাটা মূলত মেনে নিতে পারেননি রশিদ লতিফ। নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে রশিদ
লতিফ কদিন আগে বলেছিলেন, ‘শাহিন শাহ আফ্রিদি ওয়ানডের অধিনায়ক হয়েছেন। জনগণের মধ্যে বিভিন্নভাবে যেমন জাত, শ্রেণি ও ক্রিকেট দলের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা এক রাজনৈতিক উপায়।’ ২০২৩ সালের মার্চ থেকে শুরু করে পাকিস্তান দলে কীভাবে বারবার অধিনায়ক বদলানো হচ্ছে, সেটার ধারাক্রম দেখিয়েছিলেন।
শাহিনের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব একেবারে নতুন নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তান পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল। সে বছরের মার্চে বাবর আজম সাদা বলের অধিনায়কত্বে ফিরলে শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্ব চলে যায়। এবার শাহিনের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে দুটিতেই জিতেছে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেললেও শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুই ওয়ানডে খেলেন তিনি।