না, পারলেন না আকবর আলীরা। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ইস্পাতসম মানসিকতার প্রদর্শনীতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ টাই করেছিলেন। কিন্তু সুপার ওভারে হেরে গেছে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে। সেমিফাইনালে ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে জিতলেও রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের তোলা ৬ রান, পাকিস্তান ২ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের সমান ১২৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
তবে সুপার ওভারের আগে কঠিন এক পরিস্থিতিতেই দুর্দান্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দুই ওভারেই ২১ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। পরের ২২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। জিশান আলম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আকবর আলী থিতু হতে পারেননি উইকেটে। ৩টি চার ও ২টি ছযে ১৭ বলে ২৬ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করা ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে কেউই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে ৪৪/৪ থেকে একপর্যায়ে বাংলাদেশ দলের স্কোর হয়ে যায়—৫৩/৭!
কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের স্বপ্ন। রঅষ্টম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে মেহেরব ও রাকিবুল স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানে মেহেরবের বিদায় তাঁদের ৩৭ রানের জুটি ছিন্ন হলে মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার! ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান রাকিবুলও। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে আবদুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডলের মরীয়া প্রচেষ্টা।
১৯তম ওভারে এই জুটি ২০ রান তুলে ফেললে শেষ ওভারে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৭ রান। তখন মাঠ জুড়ে পিনপতন নিরবতা। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নখ খুটতেও দেখা গেল। বাংলাদেশ যে পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে এনেছে, তাতে একবার মনে হয়েছিল জিতবে বাংলাদেশই। কিন্তু শেষ ওভারে ৭ রানের জায়গায় বাংলাদেশ তুলতে পারল ৬ রান। তাতে ম্যাচ টাই।
এর আগে কাতারের দোহায় প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে পাকিস্তান শাহিনস।
রানের খাতা খেলার আগেই প্রথম উইকেটের পতন,২টি রান নিতে দ্বিতীয় উইকেটের পতন—ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্নের মতোই শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের। একপর্যায়ে ৬৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। বিদায় নেওয়া প্রথম পাঁচ ব্যাটারের দুজন রানের তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন। জিশান আলমের শিকার হওয়ার আগে ওপেনার মাজ শাদাকাত ১৮ বলে ২৩ রান করেন। ২৩ বলে ২৫ করেন আরাফাত মিনহাস। পাকিস্তান স্কোরটাকে ১২৫ রানে নিতে বড় ভূমিকা রাখেন সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসা সাদ মাসুদ। ৩টি চার ও সমান ছয়ে ২৬ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
বল হাতে সবচেয়ে সফল রিপন মণ্ডল; ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান।