তাঁর পুরো ইনিংসে যতটা দৃঢ়তা ছিল, সেঞ্চুরির শটটা সে হিসাবে কিছুটা নড়বড়ে। তাতে কী আসে যায়? থার্ডম্যান দিয়ে ওই চারে মুশফিক রহিম যে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি।
উদ্যাপনটা অবশ্য সাদামাটাই করেছেন মুশফিক। আকাশের পানে তাকালেন, হেলমেটে চুমো খেলেন; তারপর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে সিজদা দিলেন। সেঞ্চুরি করে সাধারণত যেমন বুনো উচ্ছ্বাস করেন মুশফিক, সে হিসাবে উদ্যাপনের ধরন একটু ব্যতিক্রম ছিল বলাই যায়।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের শুরুতে মুমিনুল হক আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন সাকিব আল হাসান। তুলনায় মুশফিক একটু রয়েসয়েই ছিলেন। তবে সেঞ্চুরির আক্ষেপ জাগিয়ে সাকিব ফিরে গেলেও একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন মুশফিক। এই অবিচলতাই তাঁকে এনে দিয়েছে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটিকে মুশফিক রূপান্তর করেছেন ১০ম সেঞ্চুরিতে। গত ডিসেম্বরে ভারত সিরিজ থেকে ব্যাটের সঙ্গে কম সখ্য হচ্ছিল মুশফিকের। দুই টেস্টের চার ইনিংসে ৩০-এর ওপরে স্কোর ছিল না একটিও। ইনিংস শুরু করছিলেন, কিন্তু বড় করতে পারছিলেন না। তবে খারাপ সময়টা বেশি ত্বরান্বিত হতে দিলেন না মুশফিক। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে মুশফিক অপরাজিত আছেন ১১০ রানে। তাঁর ইনিংসে ১৪ চার ও ১ ছক্কা।