হোম > খেলা > ক্রিকেট

ভারতীয় কিংবদন্তিদের পেছনে ফেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন পাকিস্তানের সালমান আলী আঘার। ছবি: ক্রিকইনফো

এশিয়া কাপে সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ফাইনালে উঠলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয়েছে। তাতে সমালোচনাও হয়েছে অনেক। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সব কিছুর জবাব দিচ্ছেন তিনি। দল পাকিস্তানও আছে দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার গড়ে ফেলেছেন বিশ্ব রেকর্ড।

সালমান বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেই এক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৫৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন তিনি। সালমান তাতে ভারতীয় দুই ব্যাটিং কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রাহুল দ্রাবিড়কে টপকে গেছেন। ধোনি-দ্রাবিড় এক বছরে ৫৩টি করে ম্যাচ খেলেছিলেন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তিদের সমান বছরে ৫৩ ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ।

ধোনি-দ্রাবিড়-ইউসুফরা কেউ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না। এক বছরে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি তাঁরা গড়েছিলেন তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বছরে। দ্রাবিড় ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৩ ম্যাচ খেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি যেহেতু তখনো আসেনি, ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেই তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন। ইউসুফ ২০০০ সালে খেলেছিলেন ৫৩ ম্যাচ। তাঁর ব্যাপারটা দ্রাবিড়ের মতোই। ধোনি ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছিলেন ৫৩ ম্যাচ। তিনি ভারত ও এশিয়ার হয়ে এই রেকর্ডটি গড়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে যৌথভাবে তিনে আছেন তিন ক্রিকেটার। ল্যান্স ক্লুজনার, পল কলিংউড, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসরা বছরে ৫২টি করে ম্যাচ খেলেছিলেন। ক্লুজনার-কলিংউড অনেক আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন। ম্যাথুস এ বছরের জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরে ৫০ বা তার বেশি ম্যাচ খেলার উদাহরণ ২২টি। যার মধ্যে কুমার সাঙ্গাকারাই এই কীর্তি গড়েছেন তিন বার। ২০০৬ ও ২০০৯ সালে ৫০টি করে ম্যাচ খেলেছিলেন সাঙ্গাকারা। ২০১২ সালে তিনি খেলেছের ৫১ ম্যাচ। শচীন টেন্ডুলকার, মার্ক ওয়াহ, স্টিভ ওয়াহর মতো কিংবদন্তিরাও আছেন এক বছরে ৫০ বা তাঁর বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে।

এক বছরে সর্বোচ্চ ৭১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভারতেরই। ২০২২ সালে তারা তিন সংস্করণ মিলে এত সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তান এ বছর এখন পর্যন্ত খেলেছে ৫৪ ম্যাচ। ২০১৩ সালেও তারা ৫৪ ম্যাচ খেলেছিল। নিজেদের রেকর্ড ভাঙার আরও কাছে এখন পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামলে সেটা পাকিস্তানের এ বছরে ৫৫তম ম্যাচ হবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান তো এরই মধ্যে ফাইনালে উঠে গেছে। ২৯ নভেম্বর হবে ফাইনাল। তাতে ডিসেম্বরের আগে এ বছরে ৫৬ ম্যাচ খেলা হয়ে যাবে পাকিস্তানের।

এক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড

ম্যাচ দল সাল

সালমান আলী আঘা ৫৪ পাকিস্তান ২০২৫

রাহুল দ্রাবিড় ৫৩ ভারত ১৯৯৯

মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫৩ ভারত/এশিয়া ২০০৭

মোহাম্মদ ইউসুফ ৫৩ পাকিস্তান ২০০০

ল্যান্স ক্লুজনার ৫২ দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০০

পল কলিংউড ৫২ ইংল্যান্ড ২০০৭

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৫২ পাকিস্তান ২০১৪

নিজেদেরই ইতিহাস নতুন করে লেখার সামনে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

নিলামের আগেই জানা গেল আইপিএলে কত ম্যাচ খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার

নতুন লিগ খেলতে আমিরাতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ

বিশ্বকাপের আগে দলে বেশি পরিবর্তন চান না লিটন

প্রথম দিনেই কি হার এড়ানোর বন্দোবস্ত করে ফেলল ইংল্যান্ড

পেইনকিলার নেওয়ার পরও শঙ্কায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার

১ যুগের অপেক্ষা ঘুচিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় রুটের প্রথম সেঞ্চুরি, বাকি রইল বাংলাদেশ

১৪ বছর পর ভারতের এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছেন রোহিত

ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে স্টার্ক

অ্যাশেজে সৈকতের আম্পায়ারিংকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গৌরবের বলছেন ইমরুল