মিরপুরের ঘনকালো উইকেটে ভুগতে হবে ব্যাটারদের, সেটা জানাই ছিল। তবে যতটা ভোগার কথা তার থেকে একটু বেশিই ভুগল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো পুঁজি পেল না স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করে ২০৭ রান করেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
বাংলাদেশের শুরুটাই ভালো হয়নি। স্বাগতিকদের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমে হতাশ করেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। দলীয় ৮ রানেই দুজন বিদায় নেন। সাইফ ৩ ও সৌম্য করেন ৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা ক্রিজে টিকে গেলেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হন। তাই ২০০ রানের সামান্য বেশি করেই থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
হৃদয়ের অবদান সর্বোচ্চ ৫১ রান। ৯০ বল খেলেন এই ব্যাটার। তাঁর এই ইনিংসটাই যেন স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি। মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসতে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাকেন নির্বাচকরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের।
অভিষেকে সতীর্থদের চেয়ে আলাদা কিছু করতে পারেননি অঙ্কন। রস্টন চেজের শিকার হওয়ার আগে ৭৬ বলে এনে দেন ৪৬ রান। উইকেটের বিবেচনায় অঙ্কনের এই ইনিংসটাকে খুব খারাপ বলার সুযোগ নেই। আফগানিস্তান সিরিজে ব্যাট হাতে চরম বাজে সময় পার করেছেন শান্ত। এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টিকে যান। এদিন ৬৩ বলে ৩২ রান করেন সাবেক অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন শান্ত।
২৭ বলে ১৭ রান করেন মিরাজ। ব্যাট হাতে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল রিশাদ হোসেন। জেডন সিলসের ইয়র্কারে বোল্ড হওয়ার আগে ১৩ বলে ২ ছয় ও ১ চারে ২৬ রান করেন তিনি। রিশাদ ছোট ঝড়ো ইনিংস খেলেত না পারলে দুইশোর নিচেই থেমে থাকতে হতো বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন সিলস। বাকিদের কিপ্টে বোলিংয়ের দিনে ৭ ওভারে ৪৮ রান দেন এই পেসার। সমান দুটি করে উইকেট নেন গ্রিভস ও চেজ।