পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোর গণমিছিল। বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়। এতে নয়াপল্টনের দুই দিকের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা ঘুরে আবারও নয়াপল্টনে এসে শেষ হবে।
গণমিছিলের মূল ট্রাকে যাঁরা রয়েছেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। গণমিছিলের সমন্বয় করবেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনকে মিছিলে অংশ নিতে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংগঠন তাদের নির্ধারিত স্থানে পূর্বেই অবস্থান নিয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মিছিল কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় শেষ হবে তা জানিয়েছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ সময় গণমিছিল সফল করতে ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির পাশাপাশি এদিন ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও জামায়াতে ইসলামীও গণমিছিলের কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায়ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও জিরো পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান, প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান।