ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধা কেটে যাবে।
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরীর সঙ্গে অংশীদারত্বে তিনি ‘আকাফু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ করেন। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংকের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন। ২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতির দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান। কিন্তু এ সময়ে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তিনি বলেন, কাগজ-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা তাঁর ওপর পড়ে। তিনি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে।