আগামী মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আবারও দেশজুড়ে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীতে একই কর্মসূচি পালনের শুরুতে এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার আবার ঢাকার রাজপথে নেমেছে বিএনপি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে আজ কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করছে তারা। দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফিরছেন তাঁরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবার জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিল করেছে দলটি। বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, বান্দরবান, মেহেরপুর, ময়মনসিংহসহ প্রায় সব জেলায় এই কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন বলে জানা গেছে। শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবরের পর তিন মাস সময়ের মধ্যে দলটি হরতাল ও অবরোধ, ঝটিকা মিছিল, লিফলেট বিতরণ, মানববন্ধন করলেও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা রাজধানীতে এমন মিছিল করেনি। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ‘অবৈধ’ সংসদ বাতিলের ‘এক দফা’ দাবিতে দুই দিনের এই কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
এ আগে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মগবাজার পর্যন্ত কালো পতাকা মিছিল করা হবে। ইতিমধ্যে এই মিছিলের মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
বিএনপির সূত্র বলেছে, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর নেতা-কর্মীদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে গেছে। গ্রেপ্তারের আতঙ্কে অনেকে এখনো ঘরছাড়া। তাই মনোবল চাঙা করতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে সমবেত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি ছাড়াও আশপাশের জেলার নেতা-কর্মীরাও নয়াপল্টনের এই কর্মসূচিতে আসবেন।
বিএনপির মতো আজ ‘এক দফা’ দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করবে ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম, পিপলস পার্টি ও এলডিপি। তবে যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ এই কর্মসূচি পালন করছে না। জামায়াতে ইসলামীরও শনিবার কোনো কর্মসূচি ছিল না।