সবাইকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, দেশে কোনো দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যদি কোনো দূতাবাস আক্রান্ত হয়, যদি কোনো সাবোটেজ (অন্তর্ঘাত) কর্মকাণ্ড এখানে চলে, তাহলে বহিঃশক্তি এখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। আমরা এই ধরনের কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’
সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আর ভারত সেটাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেটার জন্য আমরা ভারতীয় দূতাবাস ভাঙচুর করতে চাই না।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘দেশের জনগণকে বলব, অহিংস এবং গণতান্ত্রিকভাবে রাজপথে নেমে আসুন। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করতে চায়, দূতাবাসে হামলা করতে চায়, তাদের নিবৃত্ত করুন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের আবেগ আছে, ক্ষোভ আছে। কিন্তু আমাদের বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর নেতৃত্ব দিয়েছে। এনসিপি এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘এনসিপি গণতান্ত্রিক এবং অহিংস রাজনীতির পক্ষে। সহিংস রাজনীতির বিপক্ষে। এই আদর্শ শরিফ ওসমান হাদি শিখিয়ে গেছেন। তিনি ছায়ানটের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ার কাজ করেছেন। কিন্তু কখনো ছায়ানট ভাঙতে যাননি।’
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান প্রমুখ। এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’, ‘হাদি-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।