আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন আজ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাউন্সিলর, ডেলিগেট, সম্মানিত অতিথি ও নেতা–কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
সময় বাড়ার সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে শাহবাগ থেকে টিএসসি গেট, প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে দোয়েল চত্বর আর ঢাকা গেট পর্যন্ত। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে করতালিসহ নানা স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের এলাকা। বিপুল পরিমাণ জনসমাগমকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় রাখা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে সম্মেলন উপলক্ষে এই এলাকায় বেশ কিছু রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় সড়কে বের হওয়া মানুষজনদের গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
সম্মেলনস্থলের প্রবেশদ্বারগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি গেটে রয়েছে আর্চওয়ে। কয়েক ধাপের তল্লাশি শেষে নেতা–কর্মীদের উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সম্মেলনে আসা বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বড় দুই পদে পরিবর্তনের আশা রাখেন না তাঁরা। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ কীভাবে চলবে সেটার একটা দিক নির্দেশনা আজ পাবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাদের একজন গৌরাঙ্গ দেব। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি পদে পরিবর্তন হবে না বলে আমাদের ধারণা। তবে এই সম্মেলন থেকেই আমরা আগামী নির্বাচন ও বর্তমান আওয়ামী লীগের নতুন একটা রূপরেখা পাব।’
তবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে ১১টি পয়েন্টে সড়ক দিয়ে প্রবেশ বন্ধ এবং ডাইভারশন পয়েন্টের বিস্তারিত জানানো হয়েছে রমনা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। তাতে কোন কোন সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং কোন কোন সড়ক বন্ধ থাকবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সম্মেলনে আসা ব্যক্তিদের গাড়ি কোথায় কোথায় পার্কিং করতে হবে নির্দেশনাও তাও বলা হয়েছে।