বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম পিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্ত্বেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গত ১৯ জুলাই বগুড়া দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো সরকারের নির্দেশেই আইন আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতাদের নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ যখন অতিষ্ঠ, লোডশেডিং, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানি সংকটে জন-জীবন যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেই সময় জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতেই বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার।’ বিবৃতিতে অবিলম্বে সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম পিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।
অপর এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বাসা ছাড়ার নোটিশের বিষয়েও নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব। এই নির্দেশকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে। এরূপ একটি নিবন্ধের দায়ে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। যা এখনো আদালতে বিচারাধীন। বিষয়টি আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’