জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) জি এম কাদের বলেছেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় দেশে দুই ডোজ টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা এক কোটির নিচে। কোভিড টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী টিকা কর্মসূচিতে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে টিকা কর্মসূচিতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সারা বিশ্ব যখন টিকা দিয়ে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করছে, মনে হচ্ছে তখন টিকা দিতে ব্যর্থতার দায় এড়াতে উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।’
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স অথচ টিকা নেয়নি, এমন কেউ বাইরে বের হলেই নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিক, অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য নয়, এটা পুরোপুরি হাস্যকর। আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানায়, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না।’
জি এম কাদের আরও বলেন, টিকা না নেওয়া ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা বের হলেই নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, মন্ত্রীর এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে। অপরিকল্পিত ও অদূরদর্শী এবং সমন্বয়হীনতার কারণে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশবাসী। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ।