কেন্দ্রীয় সম্মেলন শেষ হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের বলেন, ‘একসঙ্গে কমিটি করা হবে। সিভি নেওয়া হচ্ছে, সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের যেখানে সূচনা, ৭ ই মার্চের ঘোষণা, মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়, তিনি চান পল্টন। এ উদ্যানে বেগম জিয়া অনেক প্রোগ্রাম করেছেন, গত নির্বাচনেও তিনি এখানে সভা করেছেন। ফখরুলের কেন পছন্দ নয়? ধরা পড়ে গেছেন ফখরুল। আপনি স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। আপনারা বলেন, এখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নাকি অঘটন ঘটবে, আর পল্টনের ৩৫ হাজার স্কয়ার ফুট নাকি নিরাপদ। আগুন, বোমা ও লাঠি নিয়ে আসবেন সে জন্য পল্টন আপনাদের জন্য নিরাপদ।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘আপনার ঢাকা দখল করবেন, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব? হায়রে আল্লাহ, কত বড় সাহস। এখন কামাল হোসেনও নাচে, ওয়ান ইলেভেনের নায়ক, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইহুদি জামাতার মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী সেই কামাল হোসেনও বলে শেখ হাসিনা বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, ২১ শে আগস্ট আমাদের নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) টার্গেট করে আইভী রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হলো তার মাস্টারমাইন্ড হলো হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খায় জয়, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এদিকে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সঞ্চালকের মাইক হাতে নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন সাদ্দাম হোসেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ও দলীয় স্লোগান ছাড়া কোন ব্যক্তির নামে স্লোগান দিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করেন আল নাহিয়ান খান জয়। এছাড়া ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে ২৪৫ জন বায়োডাটা (সিভি) জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।