আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। তবে একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তার কারণে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় লক্ষ করা যাচ্ছে বলে মনে করছে দলটি।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রাধান্য দিয়ে উপস্থাপিত রোডম্যাপ সম্পর্কে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম কমিশন নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একটা মতবিনিময় করবেন।’
এবি পার্টির নেতারা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করলেও জনমনে নির্বাচন নিয়ে একটা সংশয় লক্ষ করা যাচ্ছে; এর প্রধান কারণ, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপারে আস্থাশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা কঠিন হতে পারে বলেও মনে করেন তাঁরা।
নেতারা বলেন, ‘ভোটারদের সচেতন করার ব্যাপারে প্রটোকল তৈরির উদ্যোগ নিতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। নির্বাচনী প্রচারণার কিছু ব্যয়ভার রাষ্ট্র বা নির্বাচন কমিশন নেবে বলে আমরা আশা করেছিলাম, সে ব্যাপারে রোডম্যাপে কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ কমিশন অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি বন্ধের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে বারবার। গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনায় নিয়ে ভোটারের বয়স ১৭-তে নিয়ে আসার জন্য এবি পার্টিসহ অনেকে প্রস্তাব দিলেও এ ব্যাপারে আমরা কোনো পথনকশা দেখলাম না।’
নেতারা আরও বলেন, ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত যাঁদের বয়স ভোটার হওয়ার শর্ত পূরণ করবে, তাঁদেরও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোটার তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সেটা রোডম্যাপে থাকলে ভালো হতো বলে নেতারা অভিমত জানান।