আগামী দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক সংস্কার—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলন ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গণ-অভ্যুত্থানের পরে গত দেড় বছরে মানুষের অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বা সংস্কারের কোনো কাজ করতে পারেননি বলে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের সময়ে আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলো মূলত রাজনৈতিক সংস্কারের আর রাষ্ট্রের সংস্কারের। আগামী দিনে এনসিপির প্রধান লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক সংস্কার।’
নাহিদ ইসলাম মনে করেন, দুর্নীতির জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নয়। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য কাউকে এককভাবে দায়ী করার পক্ষে আমি না। এককভাবে রাজনীতিবিদদেরও আমি দায়ী করার পক্ষে না। আমরা জানি যে এই দুর্নীতি পুরাটাই একটা চক্র। একটা নেক্সাসের (সংযোগ) মাধ্যমে পরিচালিত হয়।’
নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন না হলে দেশে অস্থিতিশীলতা থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ এবং পুরো বিশ্ব এই সিগন্যালটা (ইঙ্গিত) পাবে যে দেশ আসলে স্থিতিশীল হবে কি না। দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রানজিশনটা (পরিবর্তন) পিসফুল (শান্তিপূর্ণ) ওয়েতে (পথে) হচ্ছে কি না। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচনটা খুবই পিসফুলি এই ট্রানজিশনটা ঘটানো। যদি আমরা এটা পিসফুলি করতে না পারি, অস্থিতিশীলতা কিন্তু থেকে যাবে।’
মাফিয়া ব্যবসায়ীরা তাঁদের কালোটাকা দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের পেছনে বিনিয়োগ করেন। আগামী নির্বাচনে এই কালোটাকা বন্ধ করতে না পারলে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পেছনে জনগণ এবং বিশেষত তরুণেরা যে রাজপথে নেমে এসেছিল, কোন অর্থনৈতিক অনুপ্রেরণা এবং আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্যের ভিত্তিতে তারা নেমে এসেছিল? আমরা যদি এর অনুসন্ধান করতে পারি এবং সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি, তাহলে আমাদের পরবর্তী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে আমাদের যে অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ, সেটা আমরা সম্পন্ন করতে পারব।’