লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ। তাঁরা দুজনেই আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৩১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টির (একাংশ) ও জেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সেখানে দলটির থেকে পক্ষ বলা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় তাঁদের নেতাদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন দিলেও মামলার আসামি হয়ে তাঁরা নির্বাচন করতে চান না। এ জন্য সরকারের কাছে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তাঁরা।
জাতীয় পার্টি ও জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ আসনে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে জেপির চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা-১০, হাওলাদারের স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ সোমবার শেষ সময়ে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
রুহুল আমিন হাওলাদার ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।’ তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নাও নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা-১০ ও গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিচ্ছেন না কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মামলা মাথায় নিয়ে কেমনে নির্বাচন করতে যাব? পুলিশ তো বলবে আপনার নামে মামলা আছে, চলেন। হাত-পা বেঁধে তো নির্বাচন করা যায় না।’
কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের পক্ষে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছি। টেলিভিশনে ফাটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হয়? আমরা নির্বাচনে যাব, সেটা তারা চায় না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসুক কেউ চাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনে যাব কীভাবে? এ কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছি না।’