'চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে' এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই মিলে জঙ্গি নির্মূলে যেমন ভূমিকা রেখেছি। তেমনি দেশকে মাদকমুক্ত করব। মাদক গ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকায় পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠিত মাদক নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের (ওয়েসিস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। তবুও আমরা মাদকের কারণে নানা সমস্যায় আছি। ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা আর এখন এসেছে নতুন ধরনের মাদক আইস। আইসের ভয়াবহতা কত সেটা দেশের মানুষ দেখেছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এই মাদক সেবন করে নিজেই নিজের গলা কেটেছে।'
মন্ত্রী আরও বলেন, 'মাদক নির্মূল না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। মাদক দমনে শুধুমাত্র সরকারই নয়, জনগণ ও জনপ্রতিনিধি সবাইকে সম্মিলিত কাজ করতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা করতে পারলে মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। সাপ্লাই এবং ডিমান্ড রাশ করার জন্য সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কারও সন্তান মাদকাসক্ত হলে তা প্রকাশ করতে চান না। তারা চিন্তা করেন মানুষ কী বলবে। মানুষ কী বলবে এই চিন্তা করে বলেন না। কিন্তু যখন সর্বনাশ হয়ে যায় তখন কিছুই করার থাকে না। আপনার সন্তান যখন আসক্ত হয়ে যাবে তখন চিকিৎসা করান। আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র সাত হাজার মানুষের চিকিৎসা করা সম্ভব। কিন্তু মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। তাই যেখানে যেটুকু চিকিৎসার সুযোগ পান সেখানেই আপনার সন্তানের চিকিৎসা করান। আমরা মনে করি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে ৮ লাখ লোককে যদি চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে পারি সেটাই আমাদের সফলতা।'
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম।