বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঢেকে ফেলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার চাদরে। র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবির সদস্যরাও। এ ছাড়াও সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্মৃতিসৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে স্মৃতিসৌধের ভেতরে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তর ছাড়াও স্মৃতিসৌধের গেট ও সংলগ্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে স্মৃতিসৌধের সামনে ভিড় করছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এই মুহূর্তে তাঁরা স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, সকাল থেকে স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণ ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। বেলা ৩টার দিকে চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফিরে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
স্মৃতিসৌধের বাইরে সামগ্রিক বিষয় তদারকি করতে দেখা যায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়কে। এ সময় দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন নিপুণ রায়। তিনি বলেন, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সাধারণ দর্শনার্থীরা রাস্তার দুই পাশে অবস্থান করে নেতাকে স্বাগত জানাবেন। তারেক রহমানও তাঁদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। তবে নিরাপত্তা বিবেচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়িত্বে থাকবেন। জেলা বিএনপি তত্ত্বাবধানে থাকবে। ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা-১, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-১৯ এবং ঢাকা-২০ এই পাঁচটি আসনের বিএনপির প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
নিপুণ রায় আরও বলেন, ‘আমাদের দলের সংগ্রামী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশের নেতা, গণমানুষের নেতা। তিনি গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের জনগণ তাঁকে সম্মান জানাতে এবং একপলক দেখার জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে সমবেত হয়েছেন।’