দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার পেছনে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করে জোট নেতারা এই দাবি জানান।
বৈঠক শেষে জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। ৫০ বছরে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা দেখিনি। আমরা বলেছি, এর পেছনে যে কুশীলবরা কাজ করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা শিগগিরই খুঁজে বের করে জনসম্মুখে তাদের হাজির করবেন।’
সহিংসতার ঘটনা ঘটার পেছনে প্রশাসনিক ও গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করে ১৪ দল। মেনন বলেন, কোথাও যদি কোনো শৈথিল্য থাকে সেটা দেখতে হবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘রামু থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত হামলার ঘটনার মামলার কোনোটির চার্জশিট হয়েছে দুই বছর পর, ফলে সাক্ষী পাওয়া যায় না। কোনোটার এখনো চার্জশিটই হয়নি। বিচার না হওয়ায় এরা সাহস পেয়ে গেছে। এই বিষয়টি আমরা বলেছি।’
পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোট নেতারা। পাশাপাশি দেশের অন্য জায়গায়ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ঘর নির্মাণে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ২০০ প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি মিনিকেট চাল, এক কেজি দেশি মসুরের ডাল, এক কেজি লবণ, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, মসলাসহ আট ধরনের খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। এক প্যাকেট খাবারে চার সদস্যের পরিবার এক সপ্তাহ চলতে পারবে বলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।