নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে না দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকার অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়বে বলে হুমকি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সোজা কথা, আমরা সমাবেশ করব। যেখানে (নয়াপল্টনে) বসার কথা, সেখানে না বসলে সারা ঢাকার অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ব। যার যা আছে তা নিয়ে বসে পড়ব।’
আজ বুধবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এক দফা দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি)।
পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনকে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা কর্মসূচি গণতান্ত্রিকভাবে করছি, গণতান্ত্রিকভাবেই করব। আর পুলিশ-প্রশাসনের লোক কিছু বাড়তি কথাবার্তা বলেন। তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব, রাজনৈতিক বিতর্ক রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকতে দেন। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে আপনারা জড়াবেন না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা কোথায় সমাবেশ করব, করতে পারব না; আপনারা রাজনৈতিক বিবেচনায় যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সেই সিদ্ধান্ত আমরা যে মানতে বাধ্য, তা তো না। কোথায় মিটিং করব এবং কোথায় করতে পারব না, সেটা পুলিশের অনুমতি নিয়ে করতে হবে, সংবিধানের কোথায় আছে?’
আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিল প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা একটা ভালো কাজ করেছেন। বর্তমানে পুলিশের যে চরিত্র, তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতই অপরাধ করুক, তিনি যদি ক্ষমতায় না-ও থাকেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করতে না-ও যেতে পারে। তখন আমরা আনসারকে কাজে লাগাতে পারব।’