ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘অনেকে বলে, হুজুর, আওয়ামী লীগও চাঁদাবাজ, বিএনপিও চাঁদাবাজ—পার্থক্যটা কী? এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য হলো, একটা ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ, আরেকটা শাহি চাঁদাবাজ। আওয়ামী লীগ লুটপাট করেছে হাজার হাজার শত শত কোটি। এরা হলো শাহি চোর, শাহি চাঁদাবাজ। আরেক দল আছে ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ। মুচির কাছে যায়, ঋষির কাছে যায়, চামারের কাছে যায়, রিকশাওয়ালার কাছে যায়, ঠেলাওয়ালার কাছে যায়, টেম্পোস্ট্যান্ডে যায়।’
কিশোরগঞ্জে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজমুক্ত দেশ চাই। কাউকে ভাগাতে চাই না। জিয়াউর রহমান সাহেবের যে আদর্শ, কাউকে ভাগাতে চাই না। কাউকে দূর করতে চাই না। লড়াতে চাই না। কণ্ঠ রোধ করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে গড়তে চাই। এ দেশটাকে বাঁচাতে চাই। যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই, আমরা নষ্ট হয়ে যাই, এই জাতি নষ্ট হয়ে যাবে, এই জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এই দেশ লুপ্ত হয়ে যাবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) মুফতি শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদে জেলা উপদেষ্টা অধ্যাপক মাওলানা আজিজুর রহমান জার্মানি, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা উপদেষ্টা মাওলানা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নোমান আহমাদ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা উপদেষ্টা মুহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম মাজহার, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি কফিল উদ্দিন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ মুসা খাঁন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মাদ নূর আহমাদ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি তানভীর আহমাদ।