গত দুই দিন ধরে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছাত্রদলের ৪৭ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঠানো বিবৃতি রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের সশস্ত্র সহিংস আক্রমণে ছাত্রদলের অসংখ্য নেতা কর্মী গুরুতর জখম হয়। শহীদ মিনারের সামনে বেলা ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে দফায় দফায় ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়।
গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো তারা শঙ্কামুক্ত নন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় রেহাই পায়নি ছাত্রদল নেত্রীরাও। রড, হকিস্টিক, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মেয়েদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়েনার মতো। দুজন ছাত্রদল নেতাকে ঢাবি’র শহিদুল্লাহ হলের নির্জন কক্ষে উঠিয়ে নিয়ে এসে আবরার স্টাইলে শারীরিক নির্যাতন চালায়। তাদের রক্ত শুকাতে না শুকাতেই আজ সকালে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের মিছিলে আক্রমণ চালায়। ছাত্রদল নেতারা হাইকোর্ট চত্বরে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানেও ছাত্রদল ও আইনজীবীদের ওপর রক্তাক্ত হামলা চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
দেশব্যাপী বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিএনপি’র প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। হামলায় নেতা কর্মীরা আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
খুলনা জেলা ও মহানগরে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের পেটুয়া বাহিনী হামলা করে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব-শফিকুল আলম তুহিন ও মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক-রেহানা আক্তার ঈসাসহ ১০ / ১২ জন নেতা কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশের হামলায় শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়।