আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা (আওয়ামী লীগ) গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা যারা নির্বাচন করবেন তাদের স্বাগত। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে।’
গতকাল শনিবার রাতে গণভবনে দলটির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে শেষে গণভবনের গেটে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে এ বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মেম্বারশিপ, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই-তিনটা বিষয় আজ এখানে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী এবং জলঢাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘যে সব জায়গায় বিদ্রোহীরা পদে আছে, সেসব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলনের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ সকল শাখা, বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলা সম্মেলনগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের ইতিমধ্যে অন্তত ৪০টা উপজেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে এবং ৭ টির মতো জেলার সম্মেলন ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আগামী নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে। আর বিরোধী দল তাদের মিছিল-মিটিং, সমাবেশ স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টির প্রয়োজন নেই।’