হোম > রাজনীতি

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী বদলে সীতাকুণ্ডে আসলাম, বন্দরে আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে বিএনপির আগের প্রার্থী পরিবর্তন করে সেখানে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১০ (পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং, পাহাড়তলী) আসনে আগের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পরিবর্তন করে সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে। দলটির সিদ্ধান্তে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে নতুন করে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা ধরেননি।

তবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম-৪ আসনে আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাঈদ আল নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নিয়ে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নগরীতে চারটি, উত্তর চট্টগ্রামে সাতটি এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামে আসন সংখ্যা ৫। ১৬টি আসনের মধ্যে চন্দনাইশ ছাড়া শনিবার পর্যন্ত বিএনপি ১৫টি আসনে নিজেদের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।

এর আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার অনেক আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ আসনে (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড) প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও দুটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম ১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) আসন দুটির প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ঝুলে থাকে।

অবশেষে চট্টগ্রাম-১১ আসনে প্রার্থী হিসেবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপি নেতারা।

তবে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেয়নি বিএনপি।

গত ২০ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ সভার আয়োজন করা হয়। ওই দিনই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

মনোনয়ন পাওয়ার পর চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাঈদ আল নোমান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে সামাজিক কাজের একটি অংশ। বাবার মতো রাজনীতিকে সামাজিক কর্মকাণ্ডের আধার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হব। এই আসনে বিএনপির জয় অবশ্যম্ভাবী।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বরের শুরুতে প্রার্থী ঘোষণার পর চট্টগ্রামের অন্তত সাতটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন, মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনা ঘটে। মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহসহ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতিও নেন।

আমি কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি: তারেক রহমান

মাকে দেখতে আবারও হাসপাতালে তারেক রহমান

দেশে ফিরেছেন খন্দকার মোশাররফ

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাসনিম জারা

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

কুমিল্লা-৩ থেকে আসিফ মাহমুদের পক্ষে নেওয়া হলো মনোনয়ন ফরম